মার্কিন মদতেই তৈরি হচ্ছে উগ্রবাদী শক্তি, অভিযোগ সেলিমের

মার্কিন অর্থে উগ্রবাদী গোষ্ঠী তৈরি করে দক্ষিণ এশিয়াকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে, অভিযোগ করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Selim

নিজস্ব সংবাদদাতা : "পাকিস্তানের পেছনে আমেরিকার মদত রয়েছে। আশির দশকের শেষ থেকে এই ধরনের মার্কিনী টাকায় ট্রেনিং দিয়ে এই ধরনের সব উগ্রবাদী তৈরি করা হয়েছিল কমিউনিস্টদের শেষ করার জন্য। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দক্ষিণ এশিয়াকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। যখন গোটা দেশের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন, তখন বিভাজনের সৃষ্টি করছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।" এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

123

শনিবার সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যজুড়ে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে উগ্রপন্থীদের হামলা এবং খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়। উগ্রপন্থীরা এ কাজটা করে বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে, যাতে দেশকে দুর্বল করা যায়, দেশের ঐক্যে ফাটল ধরানো যায়। এমনই মন্তব্য করেন সেলিম। তিনি বলেন, "ঘটনার পরে উগ্রপন্থী বা পাকিস্তানের যতটা নিন্দা না করা হচ্ছে, তার বেশি বামপন্থীদের আক্রমণ করা হচ্ছে।" ধর্মের নাম জিজ্ঞাসা করে খুন করা হয়েছে, সেটা কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, "সর্বদলীয় বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকার নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিক। কোথায়, কার গাফিলতি রয়েছে তার তদন্ত হোক। কাশ্মীরে বারে বারে উগ্রপন্থার হানা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ঘোষণা করেছিলেন নোট বন্দি করে আতঙ্কবাদ শেষ হয়েছে। তিনি নিজে বলেছিলেন উগ্রপন্থীদের টাকা-পয়সা আমদানি বন্ধ করতে নোট বন্দি করা হয়েছে। আর উগ্রপন্থী থাকবে না।"

Kashmir

 তিনি আরও বলেন, "কাশ্মীরিদের সারা বছরের রোজগার এই সময় হয়। যে কারণেই তারা উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। ওই কাশ্মীরিরাই বিজেপি নেতাদের বাঁচিয়ে ফিরিয়েছেন। বড় বড় মালিকরা প্লেনের ভাড়া বাড়িয়ে দিলেন চার গুণ, আর অটোচালক, রিক্সা চালকরা বিনামূল্যে যাতায়াতের ঘোষণা করলেন। মেহনতী মানুষ, গরিব মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ জাত, ধর্ম দেখে না। যারা লুট করে, দুর্নীতিগ্রস্ত তারাই জাতপাত, ধর্ম, বর্ণ দেখে। আজকে দাঁড়িয়ে যারাই ধর্মীয় উস্কানি দেবে তারাই দেশের শত্রু।"