নদীয়ার দুঃসাহসিক ডাকাতি ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠক ডিআইজি

ডাকাতির ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করে  ডিআইজি রশিদ মুনির খান তিনি বলেন,মূলত এই ঘটনায় মোট আটজনের একটি টিম ছিল, এরা প্রত্যেকে বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় একজন বিহারী প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়।

author-image
Ananda Das
New Update
WhatsApp Image 2023-08-30 at 17.49.12.jpeg

      নিজস্ব সংবাদদাতা :   দিনের বেলায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য নদীয়ার রানাঘাটে। যেন ফিল্মি কায়দায়, ক্রেতা সেজে প্রথমে দুজন পরবর্তীতে মোট ৯ জন আগ্নেয়স্ত্র দেখিয়ে, প্রায় কুড়ি মিনিটের মধ্যে সাফ করে দেয়  পুরো সোনা দোকানটি ।রাজ্যের মধ্যে অন্যতম স্বর্ণ ব্যবসায়ী সেনকো গোল্ড এর রানাঘাট চাবি গেট এই দোকানে।  তিনটি মোটরসাইকেল চেপে পালিয়ে যাওয়ার সময়, রানাঘাট থানার পুলিশের সাথে গুলির লড়াই চলে, এরপরেই চারজন কে ধরে ফেলেন তারা। উদ্ধার হয় একটি ব্যাগ।
তবে, সোনা রুপো বিভিন্ন মূল্যবান ধাতুর অলংকার তো বটেই, হিরে এবং অন্যান্য মূল্যবান পাথর সহ কয়েক কোটি টাকার লুঠ হয়েছে বলে  প্রাথমিকভাবে আন্দাজ করা হয়েছে।

এই ডাকাতির ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করে  ডিআইজি রশিদ মুনির খান তিনি বলেন,মূলত এই ঘটনায় মোট আটজনের একটি টিম ছিল, এরা প্রত্যেকে বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় একজন বিহারী প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। তারপর এই দুষ্কৃতি টিম থেকে বিহার থেকে ডেকে আনে। ঐদিন আনুমানিক তিনটে নাগাদ তারা ক্রেতা সেজে শোরুমে প্রবেশ করে। তাদের প্রত্যেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। খবর পেয়ে কুড়ি মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাদেরকে তাড়া করে পুলিশ ও ফায়ারিং করা শুরু করে। এরপর দুইজনের পায়ে গুলি লাগে। তাদের কাছ থেকে মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু অবৈধ বাইকের নাম্বার প্লেট এবং আধার কার্ড রিকভারি করা গেছে।

পাশাপাশি জানানো হয় এই চার দুষ্কৃতিকে  রানাঘাট মহাকুমা আদালতে তোলা হবে এবং আদালতে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।