ধনখড়, বিবাহিত জীবনের পাঠ পড়ালেন খাড়গেকে

শাসক-বিরোধী উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝেই রাজ্যসভায় উঠল হাসির রোল। অধিবেশন চলাকালীনই বিবাহিত জীবনের পাঠ পড়ালেন ধনখড়। কাকে? মল্লিকার্জুন খাড়গেকে।

New Update
ezgif.com-gif-maker (63) (1).jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: মণিপুর ঘটনায় এবছরের বাদল অধিবেশন প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত। সংসদের দুই কক্ষেই সেই ছবি এখন অতি পরিচিত। কার্যত রোজই শাসক-বিরোধী উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পালা চলছে। এমন সময়ই রাজ্যসভায় উঠল হাসির রোল। কিনা অধিবেশন চলাকালীনই বিবাহিত জীবনের পাঠ পড়ালেন ধনখড়। কাকে? মল্লিকার্জুন খাড়গেকে।

এদিন বক্তব্য রাখার মাঝে কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার স্পিকার জগদীপ ধনখড়কে খোঁচা দিয়ে বলেন, “মনে হয় কাল রেগে ছিলেন। তাই গতকালের বলা বিষয়টা সেই ভাবে খেয়াল নেই”।

আর তাতেই পালটা ধনখড় বলেন, “আমি বিবাহিত। গত ৪৫ বছর ধরে। তাই মাথা গরম করিনা। কখনও মাথা গরম করিনি। আপনিও মাথা গরম করবেন না। আর আমার পেশার পি চিদাম্বরম (আইনজীবী) এখানে রয়েছেন, উনিও সহমত পোষণ করবেন আমাদের পেশা শিখিয়েছে মাথা গরম করতে নেই”। তাঁর এই কথার পরই হাসির রোল ওঠে কক্ষে। স্পিকারকেও হাসতে দেখা যায়।

অবশ্য এর উত্তর দিতে ছাড়েননি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনিও পালটা বলেন, “মনে হয় রাগ কীভাবে না দেখানো যায়, সেটা আপনি ভালোই জানেন। ভিতরি রাগ করেন, কিন্তু তা প্রকাশ করেন না”।

 

উল্লেখ্য, গতকালই রাজ্যসভার স্পিকার তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছিল প্রবল তর্ক-বিতর্ক। বিরোধীরা বারবার সংসদে হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মণিপুর ইস্যুতে বক্তব্য রাখার দাবি জানালেও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হাজির হতে ‘নির্দেশ’ দিতে পারেন না বলেই জানিয়েছিলেন ধনখড়। বিরোধীদের ক্রমাগত সরব হওয়ার জেরে তাঁদেরকে উঁচু গলায় স্তব্ধ করতেও দেখা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে প্রাক্তন রাজ্যপালকে। আর আজ তাঁকে দেখা গেল একেবারে অন্য ভূমিকায়।