/anm-bengali/media/media_files/3YCWCG8yJk8Mfciykua5.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: বকেয়া ডিএ ইস্যুতে যখন রাজ্য সরকার চাপে, তখন প্রকাশ্যে এল ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট, যা নতুন করে জ্বালিয়ে তুলল বিতর্কের আগুন। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে — কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল অনুযায়ী ডিএ দিতে পারে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য। তবে, সেই বকেয়া ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের সময়কালের, অর্থাৎ পঞ্চম পে কমিশনের আওতায়। এই নতুন রিপোর্ট ষষ্ঠ পে কমিশনের, যার সুপারিশ প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৫ সালেই, কিন্তু আদালতের নির্দেশে এবার তা পাবলিক ডোমেইনে আনা হল।
রিপোর্টে কী বলা হয়েছে? রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “রাজ্য সরকার তার আর্থিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএ নির্ধারণ করতে পারে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। সর্বভারতীয় ভোক্তা মূল্য সূচক (All India CPI) মেনে চলার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই”।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/06/25/da-case-2025-06-25-08-09-22.jpg)
এই সুপারিশ ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। সংগঠনের প্রতিনিধি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিরূপ সরকার নিজে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেতেন, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স মেনে ডিয়ারনেস রিলিফ পান। অথচ এখন তিনি বলছেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দরকার নেই! এটা রাজ্য সরকারকে বাঁচানোর একটি কৌশল। আমরা এই রিপোর্ট এবং অভিরূপ সরকারকে ধিক্কার জানাচ্ছি”।
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত দাবিতে এই রিপোর্ট যে এক নতুন মোড় আনল, তাতে সন্দেহ নেই। এখন দেখার, আদালত ও রাজনীতি এই ইস্যুতে কী দিশা নেয়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us