/anm-bengali/media/media_files/rAkHjAAAsreGGbdV4X8Z.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় যুক্ত হয়েছে সিবিআই তদন্ত। কীভাবে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল এই প্রশ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছে গোটা দেশকেই। আর এরই উত্তর খুঁজছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারেরা।
এবার উত্তর খুঁজতে গিয়ে বাংলার যোগ পেল সিবিআই। সিবিআই স্ক্যানারে এসেছে হুগলী ও মেদিনীপুরের দুই রেল কর্মী। এছাড়াও রয়েছেন একাধিক রেলকর্মী। যা জানা যাচ্ছে, খড়গপুর রেল ডিভিশনের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারের এই ক্ষেত্রে কিছু যোগ রয়েছে। আর তাই সেই সব তথ্য সন্ধান করতে রাজ্যে আসছে সিবিআই-এর প্রতিনিধিরা।
যা জানা যাচ্ছে, বালেশ্বরের সোরো সেকশনের রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই। ওই যুবক এবং তাঁর পরিবার বালেশ্বরেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কিন্তু করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর থেকেই তাদের কারও দেখা মিলছে না।
রেলের এই জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারের নাম আমির খান। তিনি সোরো সেকশনে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার তাঁর বাড়িতে তাঁকে খুঁজতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কিন্তু বাড়িটি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। ফলে বাড়ি সিল করে দিয়ে আসে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই বাড়ির উপর তারা আলাদা করে নজর রেখেছে।
অন্যদিকে, সিবিআই তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর রেলের একাধিক কর্মীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সেই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই এই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের নাম সামনে আসে। তাই এবার তাঁকে খুঁজতে শুরু করেছে গোয়েন্দারা। একই সাথে হুগলী এবং মেদিনীপুরের দুই রেলকর্মীকেও খুঁজছে গোয়েন্দারা।
এই রেল দুর্ঘটনার পর প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, সিগন্যালের ত্রুটিতেই এমন দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু পরে রেলের তরফেও জানানো হয়, এক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া শুধু প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে এত বড় দুর্ঘটনা সম্ভব নয়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us