তবে কি "বাংলার মেয়ে" হয়ে বাংলার মিষ্টি সংস্কৃতিকে অপমান করে চলেছে সরকার? মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা তরুণজ্যোতির

কি বললেন তরুণজ্যোতি?

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
z

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার পশ্চিমবঙ্গ সকারের বাড়ি বাড়ি জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বিলির উদ্যোগকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি ট্যুইট করে বলেন, 
🔴 এটা সরকার চলছে, না সার্কাস—ভগবানই জানেন! 🔴

একদিকে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া, লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার, রাজ্যে কলকারখানার অস্তিত্ব প্রায় শেষের পথে, পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা ৭৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে—
আর অন্যদিকে “সরকার” ব‍্যস্ত গজা-পেড়া বিলি করতে!

❗ উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকে সরকারের তরফে গজা-পেড়া কেনার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
❗ শুনে অবাক হবেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে গজা-পেড়া বিলি হবে ‘প্রভু জগন্নাথের প্রসাদ’ বলে।
❗ রেশন দোকানেও কেরোসিন তেলের পাশে মিষ্টির প্যাকেট থাকবে!

👉 কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—

🔹 প্রভু জগন্নাথের প্রসাদ কি পাড়ার দোকানে তৈরি হয়?
🔹 সরকারি টাকা খরচ করে কি ভগবানের নামে চূড়ান্ত অপমান হচ্ছে না?
🔹 রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পর আরএসএস-বিজেপি রামের অর্ঘ্য (পূজিত চাল) বিলি করেছিল এক পয়সা সরকারি খরচ ছাড়াই। কিন্তু এখানে সরকার নিজেই "ভগবানের" হয়ে জগন্নাথের নাম বেচে ভোটের গজা-পেড়া বিলি করছে।

তাও যদি বাঙালির মিষ্টি হতো, কিছু বলতাম না।
⚠️ গজা ও পেড়া — দুটোই বহিরাগত সংস্কৃতি!
▪️ গজা = ওড়িশা
▪️ পেড়া = মথুরা, উত্তর প্রদেশ
তবে কি "বাংলার মেয়ে" হয়ে বাংলার মিষ্টি সংস্কৃতিকে অপমান করে চলেছে সরকার?

👎 বাংলার রসগোল্লা, সন্দেশ, ল্যাংচা, চমচম কোথায়?
এই কি "বাঙালি সংস্কৃতি"র রক্ষক সরকারের কাণ্ড?
এখন কী তবে মিষ্টির গায়েও 'তোলামূল' রাজনীতি?

📣 তাই বলছি —
সরকারি লোক গজা-পেড়া নিয়ে বাড়ি এলে প্রসাদ বলে গ্রহণ নয়, ওদের বাঙালি কায়দায় ‘প্রসাদ’ দাও!
বিরোধিতা করো এই মিষ্টির অনুপ্রবেশের, ভোট-লোভী অপসংস্কৃতির।

এক ভাঁড় রসগোল্লা চাও।
জগন্নাথ দেবকে অপমান নয় — ভোটের লোভে ধর্মকে বিক্রি নয় — বাঙালির সংস্কৃতি নিয়ে ছেলেখেলা নয়।"

তরুণজ্যোতি তিওয়ারির এই ট্যুইট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দির উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে সকলের পক্ষে সবসময় মন্দির যাওয়া সম্ভব হয় না, বা অনেকেই এখনও পর্যন্ত মন্দিরে যেতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জগন্নাথ দেবের প্রসাদ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বড় উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে বর্তমানে এই উদ্যোগকে নিয়েই চলছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন।  

Mamata