নিজস্ব সংবাদদাতা: গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময় দলের নির্দেশ না মানার কারণে ডেবরা ব্লকের ভরতপুর ও ডেবরা (৫/১) অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হল। তার সাথে ভরতপুর অঞ্চলের আরও কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে মোট ছয়জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিন তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশীস হুদাইত এই খবর জানান। এইদিন তিনি ডেবরায় বিধায়ক কার্যালয়ে গিয়ে এই কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন যাঁরা দলের নির্দেশ লঙ্ঘন করে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছেন দল তাঁদেরকে রেয়াত করে না। তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল একটি সুশৃঙ্খল দল। সেই দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তাঁদের নির্দেশকে লঙ্ঘন করে এমন ধরনের কাজকর্মের সাথে যাঁরা যুক্ত, যাঁরা এ জাতীয় ক্ষমতা প্রদর্শন করেন দল তাঁদের রেয়াত করে না। তাই এই ছয়জনকে দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হল”।
পাশাপাশি তিনি দলের সমস্ত স্তরের কর্মী ও নেতাদের সতর্ক করে বলেন, “এঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখা যাবে না বাকি সদস্যদের”। এইদিন তৃণমূলের ভরতপুর অঞ্চলের সভাপতি সেখ তাজউদ্দিন, সহ সভাপতি অদ্বৈত মাইতি, কোষাধ্যক্ষ খোদামুল হক, যুব তৃণমূলের সভাপতি অরবিন্দ সাউ, ডেবরা ব্লক সদস্য দুর্গাপদ চন্দ সহ ডেবরা (৫/১) অঞ্চল সভাপতি ভবানী শংকর মাইতিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ভরতপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সময় দলের পক্ষ থেকে প্রধান পদের জন্য রূপালি মুর্মু ও উপপ্রধান হিসাবে লাল্টু দলুইয়ের নাম পাঠানো হয়। কিন্তু বোর্ড গঠনের পর দেখা যায় প্রধান হিসাবে সাসপেন্ডেড অঞ্চল সভাপতি তাজউদ্দিনের স্ত্রী সাকিলা বিবি প্রধান পদে ও অজিত হাঁসদা উপপ্রধান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তখনই অভিযোগ ওঠে অঞ্চল সভাপতি সেখ তাজউদ্দিন দলের মধ্যে প্রভাব খাটিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করে নিজের স্ত্রীকে প্রধান করেছেন।
অপরদিকে ডেবরা (৫/১) গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদের জন্য ফারিন খাতুন ও উপপ্রধান হিসাবে পূর্ণিমা ভুঁইয়ার নাম পাঠানো হয় দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু গ্ৰাম পঞ্চায়েত গঠনের সময় প্রধান পদে পূর্ণিমা ভুঁইয়া ও উপপ্রধান পদে ফারিন খাতুনকে নির্বাচিত করা হয়। তারপরেই অভিযোগ ওঠে অঞ্চল সভাপতি ভবানী শংকর মাইতির বিরুদ্ধে। এইদিন বিধায়ক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ডেবরা ব্লক সভাপতি বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতারা।