যোদ্ধাদের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়…

৪১ জন শ্রমিকের এই দুর্ধর্ষ অভিযানই হল এই গল্পের ইতিকথা।

New Update
ম্নব

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: যন্ত্র হার মানলেও দৈহিক শক্তি হার মানেনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাধা হলেও মানবিকতা তা বাধা মনে করেনি। আর যার ফল হল ১৭ দিনের অন্ধকূপ কাটিয়ে আলোর মধ্যে আশা। ৪১ জন শ্রমিকের এই দুর্ধর্ষ অভিযানই হল এই গল্পের ইতিকথা।

১৭ দিনের মাথায় র‍্যাট মাইনিং অর্থাৎ ইঁদুরের মতো হাতে মাটি খুঁড়েই এল সাফল্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৫ মিনিটে মাটির নিচে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যান এনডিআরএফের আধিকারিকেরা। রাত ৮টা নাগাদ প্রথম শ্রমিক বের হয় সেই অন্ধকূপ থেকে। তারপরই সুড়ঙ্গের বাইরে শোনা যায় 'ভারত মাতা কী জয়' স্লোগান।

এবার ওই শ্রমিকদের সুস্থ হয়ে বাড়ির ফেরার দিকে তাকিয়ে বসে আছে তাঁদের পরিবার। তাঁদের মুক্তির খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই মুখে হাসি ফুটেছে পরিবার-পরিজনদের।

উত্তরপ্রদেশের শ্রবস্তী থেকে ৬জন ছিলেন সেই টানেলের মধ্যে আটকে। তারাও গতকাল মুক্তি পেয়েছে। তাঁদের সুস্থ থাকার খবর পেতেই পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

 

কেউ আবার বলছেন, ‘দিওয়ালির দিনই পরিবারের সদস্য আটকা পড়েছিলেন ওই সুড়ঙ্গের ভিতর। তারপর আর দিওয়ালি উদযাপন হয়নি। এবার সে বাড়ি ফিরলে আসল দিওয়ালি উদযাপন হবে’।

 

 

আপাতত প্রত্যেকের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। চোখের সামনে দেখলে তবে শেষ পর্যন্ত মিলবে মানসিক শান্তি।

hiren