/anm-bengali/media/media_files/2025/09/16/screenshot-2025-09-16-144906-2025-09-16-14-50-36.png)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগে ওড়িশার কটকের জাজপুর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ের মোহাড়ে এসে বসবাস শুরু করে লবন আন্দোলনে কর্মরত দারোগা রমাপ্রসাদ মহান্তি। সেই সময় অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার মোহাড়ের "নিমকি মোহাড়" বলে এক জায়গায় লবণ উঠতো। সেই জায়গার লবণ রক্ষণাবেক্ষণ করা ও নজরদারির দায়িত্ব ছিল জাজপুরের রমা প্রসাদ মহান্তির। একদিন মা স্বপ্নাদেশ দেয় যে দূর্গাপুজো করলে সন্তান লাভ হবে। সেই মত রমাপ্রসাদ মহান্তি দুর্গাপুজো শুরু করেন এবং তারপরেই সন্তান লাভ হয় সেই দম্পতির। ছেলের নাম দেওয়া হয় দুর্গা প্রসাদ মহান্তি। বাবার শুরু করা পুজোকে এগিয়ে নিয়ে যায় দুর্গা প্রসাদ মহান্তি। আর সেই মহান্তি থেকেই বর্তমান পদবির নাম হয় মাইতি।
৩৫০ বছর আগে ঘট পুজো ও শাল্য গ্রাম শিলার ঘটপুজো হতো এই জায়গায়। তারপর মাঝে অনেক বছর কেটে যায়। ১৯৯৪ সাল থেকে মূর্তিপূজা শুরু হয় মোহাড়ের বাসিন্দা প্রভাত মাইতির উদ্যোগে। সপ্তমীতে কেলেঘাই নদীতে ঘট তোলা হয়,অষ্টমীতে প্রসাদ বিতরণ, বাড়ির লোকজন সবাই সামিল হয় এই পূজোতে। বর্তমানে এই পুজো মাইতি বাড়ির পুজো নামেই পরিচিত। সাবেকিআনায় পরিবারের রীতি মেনেই এই পুজো প্রায় ৩৫০ বছর পেরিয়ে গেল। এখন আর সেই লবন তোলার জায়গা নেই। সমস্ত কিছুই বিলীন হয়ে গিয়েছে। আর এখন কালের নিয়মে মাইতি বাড়ির পুজো সার্বজনীন রূপ পেয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/09/16/screenshot-2025-09-16-144937-2025-09-16-14-50-00.png)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us