নিজস্ব সংবাদদাতা : নিরাপত্তা ও প্রতিশোধ—এই দুই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ভারত শুরু করল 'অপারেশন সিঁদুর'। পাহালগাঁওয়ে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু যেন গোটা দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তারই পাল্টা জবাব দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/07/VVULSwbKH3GtpKdkJhmg.png)
৭ মে গভীর রাতে শুরু হয় 'অপারেশন সিঁদুর'। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ভেতরে থাকা একাধিক সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। সব মিলিয়ে ৯টি টার্গেটকে নিশানা করে এই অপারেশন। ভারতীয় সেনা একেবারে পরিকল্পিত ও নিখুঁতভাবে এই অভিযান চালায়, যেখানে একটিও পাক সেনা ঘাঁটিতে হামলা হয়নি—লক্ষ্য ছিল কেবল সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর আস্তানা।
৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি, যেগুলিতে হামলা হয়েছে:
1. বাহাওলপুর – পাকিস্তানের ভেতরে প্রায় ১০০ কিমি ভিতরে অবস্থিত। এটি জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দফতর।
2. মুরিদকে – লস্কর-এ-তইবার শক্ত ঘাঁটি, ৩০ কিমি ভিতরে।
3. গুলপুর – ৩৫ কিমি ভিতরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ক্যাম্প।
4. সওয়াই ক্যাম্প – ৩০ কিমি ভিতরে অবস্থিত।
5. বিলাল ক্যাম্প – এই ক্যাম্পটির দূরত্ব নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি, তবে তা সীমান্তের গভীরে।
6. কোটলি ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভিতরে অবস্থিত।
7. বারনালা ক্যাম্প – ১০ কিমি ভিতরে।
8. সারজাল ক্যাম্প – ৮ কিমি ভিতরে।
9. মেহমুনা ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভিতরে অবস্থিত।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/07/zncty6WHv5P2IUnFnQyz.JPG)
এই পুরো অভিযানে ভারতীয় সেনা দেখিয়েছে অপার দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ। শুধু সন্ত্রাসের ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে—ভারতের উপর হামলা হলে, তার জবাব অত্যন্ত কঠোর হবে।