ব্রেকিংঃ CBI-এর নজরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও এক ব্যবসায়ী

গতকালই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন রাজু ঝাঁ হত্যা কাণ্ডে নাম উঠে আবদুল লতিফ। এদিকে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন বীরভূমের এই ব্যক্তি।

author-image
SWETA MITRA
New Update
anubrata.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গরু পাচারকাণ্ডে জোরকদমে তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। বর্তমানে এই গরু পাচারকাণ্ডে জেলে রয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শুধু তাই নয়, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। এরই মাঝে সিবিআই-এর র‍্যাডারে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আরও এক ব্যবসায়ী। এবার গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফকে তলব করল সিবিআই।

শেল কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ পাচারে সহায়তা করার অভিযোগে অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে মার্চ মাসে গ্রেফতার করেছিল ইডি।  

গরু পাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অনুব্রত মণ্ডলকে একই গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) গ্রেফতার করার পরে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছিল।

 

গরু পাচার মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট( ইডি)। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুকন্যাকে অতীতেও বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

সুকন্যা দুটি সংস্থার ডিরেক্টর এবং বীরভূমের বোলপুর শহরে একটি রাইস মিলের মালিক। এর আগে তিনি দুটি সংস্থার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কিছু কাল্পনিক লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হয়েছিলেন। 

সিবিআই আধিকারিকরা অভিযোগ করেছেন যে অনুব্রত মন্ডল ২০১৪ সালে বা তার পরে সম্পাদিত ১৬৮ টি জমি ও সম্পত্তির দলিলের সাথে যুক্ত ছিলেন। ফেডারেল এজেন্সির অভিযোগ, এর মধ্যে অন্তত দুই ডজন সম্পত্তি তাঁর, বাকি ১৪৪টি সম্পত্তি তাঁর আত্মীয়, সহযোগী এবং তাদের আত্মীয়দের নামে রয়েছে।