/anm-bengali/media/post_banners/QWppGW3ofbDVQypokp2P.jpg)
সুদীপ ব্যানার্জী, আলিপুরদুয়ার : মুষলধারে বৃষ্টিতে ফুঁসছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকের মুজনাই নদী। এই বর্ষায় মুজনাই নদীতে পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ভাঙ্গনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বীরপাড়া ও ফালাকাটা ব্লকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে । এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাড় ভাঙ্গন রোধে জনপ্রতিনিধিরা উদাসীন । স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষায় প্রবল ভাঙ্গন শুরু হলে জনপ্রতিনিধিরা পাড়বাঁধ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বর্ষা পেরিয়ে গেলেই তাঁরা ভুলে যান প্রতিশ্রুতির কথা। তাই এখন আর তাঁরা জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে তাঁরা অনেক বেশি ভরসা করেন মুজনাই নদীর নিয়ন্ত্রক কল্পিত দেবতা ‘মুজনাই বাবার’ ওপর।
অন্যদিকে মাদারিহাট বীরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানানো হয়েছে, মুজনাইয়ের পাড়ভাঙ্গন রোধে ১০০ দিনের প্রকল্পে কয়েকটি পাড়বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেচ দপ্তর ও জেলা পরিষদের তরফেও পাড়বাঁধ তৈরির উদ্দেশ্যে এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। রাঙ্গালিবাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধুপাড়ায় এবারও মুজনাই নদীর প্রবল পাড়ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলপাড়া, প্রধানপাড়া, দেবেন্দ্রপুর, মণিপুর, মোক্তারপুরেও পাড়ভেঙ্গে লোকালয়ের দিকে এগোচ্ছে মুজনাই নদী। মণিপুরে পাড়ভাঙ্গন রোধে তৈরি করা বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে কয়েক বছর আগেই। নদী এখন বিনা বাধায় পাড়ভেঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। দেবেন্দ্রপুরে বাঁশ পুঁতে বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে পাড় ভাঙ্গন রোধে ছোট্ট একটি বাঁধও তৈরি করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, খরস্রোতা মুজনাই নদীর কাছে এধরনের বাঁধ কোনও প্রতিরোধই করতে পারে না। এধরনের কাজ মঞ্জুর হলে শুধু ঠিকাদার ও কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধিদের পকেট ভারী হয়।ফালাকাটার মধ্য দেওগাঁওয়েও পাড়বাঁধ তৈরি না হওয়ায় বিঘার পর বিঘা জমি গ্রাস করে চলেছে এই মুজনাই নদী। ওই এলাকায় ইংরেজি বর্ণ ইউয়ের আকার নিয়ে বয়ে গিয়েছে মুজনাই নদী। বাঁকের মুখে সজোরে ধাক্কা মারছে জলস্রোত। ফলে বাঁকের মুখে পাড়ভাঙ্গনের মাত্রাও বেশি। নেই কোনও পাড়বাঁধ। নদীর জল ফুলে উঠলেই বাঁকের মুখ দিয়ে উপচে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে বসতি এলাকায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন জমি এখন মুজনাই নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে । দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই এলাকায় পাড়বাঁধ তৈরির জন্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শীঘ্রই বাস্তুকাররা নদী পরিদর্শনে যাবেন।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us