ঘাটালের মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলে সিআইডির টিম

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
ঘাটালের মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলে সিআইডির টিম

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলে তদন্ত চালায় সিআইডির ৪ সদস্যর একটি টিম। যার নেতৃত্বে ছিলেন একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। সূত্রের খবর, এদিন ঘাটালের মনসুকার ওই স্কুলে সিআইডির টিম স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত পালের সঙ্গে কথা বলে তার বয়ান রেকর্ড করেন। পাশাপাশি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গেও কথা বলে সিআইডির টিম। এছাড়াও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিৎ গোস্বামীর সাথে কথা বলেন সিআইডির টিম। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিআইডির এই টিম মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলে তদন্ত চালায়। উল্লেখ্য, ঘাটালের মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের এক সহকারী শিক্ষক গণেশ রজক তার বদলির জন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিৎ গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরেই ফোনে বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিৎ গোস্বামীর সাথে গণেশ রজকের কথপোকথনের ফোন রেকডিং প্রকাশ্যে আসে। যাতে বদলির জন্য গণেশ রজকের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিৎ গোস্বামী। ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সহকারী শিক্ষক গণেশ রজক। সেই মামলার শুনানি হয় গত ২০ এপ্রিল। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি হয়। গণেশ রজকের আইনজীবী বিচারপতির সামনে ফোন কলের রেকর্ডিং পেশ করেন। তা এজলাসে বসেই শোনেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অডিওতে বদলির জন্য টাকার প্রসঙ্গ শোনা যায়। তারপরই সিআইডিকে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেন তিনি ।