জল কষ্টে ভুগছে চন্দ্রকোনা

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
জল কষ্টে ভুগছে চন্দ্রকোনা

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : কোথাও ট্যাপ কলে নেই পর্যাপ্ত জল আবার কোথাও ট্যাপ কল থেকে পড়ছে ঘোলা জল। এমনকি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের যে সংযোগ রয়েছে তাতেও পড়ে না জল। গ্রীষ্মে পানীয় জলের সমস্যায় চন্দ্রকোনা পৌরসভার বেশকয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ।



১২ টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১,২,৫,৬ ও ৭ সহ এমন বেশকয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পর্যাপ্ত জল পাচ্ছে না বলে দাবি। এইসব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কথায়, পৌরসভার বসানো পানীয় জলের ট্যাপ কল গুলিতে পর্যাপ্ত জল পড়ে না, ঝিরিঝিরি স্বল্প জল পড়ে ট্যাপ কল থেকে। ফলে একএকজন জল পেতেই সময় পেরিয়ে যায়। আবার কোনও কোনও ট্যাপ কলে জল পড়লেও তা পরিচ্ছন্ন নয়। সেগুলি থেকে অত্যাধিক আয়রন মিশ্রিত ঘোলাটে জল পড়ে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই যেসব ট্যাপে ঘোলা জল পড়ে তা ব্যবহারের জন্য ট্যাপের মুখে বাসিন্দারা কাপড় বেঁধে তা পান করার জন্য নিয়ে যায়। বেশ কয়েকমাস ধরেই এমন পানীয় জলের সমস্যার সম্মুখীন পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। গরম পড়তে তা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। এমনকি বাড়িতে বাড়িতে পৌরসভার তরফে পানীয় জলের যে সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাতেও জল আসেনা বলে দাবি বাসিন্দাদের। পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে কাউন্সিলর, এমনকি স্থানীয় নেতৃত্বরা এবিষয়ে অবগত হলেও সমস্যা সমাধানে এখনও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তবে ওইসব ওয়ার্ডে পৌরসভার তরফে জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা যথেষ্ট নই বলেই দাবি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। তাই জলের চাহিদা পূরনে কেউ সাইকেলে করে তো আবার কেউ কেউ জলের পাত্র নিয়ে পায়ে হেঁটে অন্যত্র গিয়ে পানীয় জল বয়ে আনে। বর্তমানে দিনে তিনবার পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হয় অর্থাৎ দিনে তিনবার পৌরসভার ট্যাপ কলে পানীয় জল সরবরাহ করা হলেও তা পর্যাপ্ত পরিমাণে এইসব ওয়ার্ডের ট্যাপগুলিতে না পৌঁছানোয় গরমে চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে ওয়ার্ডবাসীকে, এমনটাই জানাচ্ছেন তারা। এবিষয়ে চন্দ্রকোনা পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র জানান, 'পৌরসভার সবকটি ওয়ার্ডে ট্যাপগুলিতে জল পড়ছে কিন্তু কিছু ওয়ার্ডের কয়েকটি মহল্লায় ট্যাপগুলিতে পর্যাপ্ত জল পড়ছে না। আমরা সেইসব মহল্লায় ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করছি। পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহের জন্য পৌরসভার তরফে পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে, এই সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।"