/anm-bengali/media/post_banners/lCpTmeLJG0DNLP3Pidmf.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুরঃ লাগাতার বর্ষণ, আর তার জেরে বন্যা পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন সরকারী ত্রাণ শিবিরে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সবাই বাড়ি ফিরলেও এখনও বাড়ি ফিরতে পারেনি মেদিনীপুর সদর ব্লকের দুই পরিবারের সদস্যরা। তাদের দিন কাটছে ত্রাণশিবিরে। ৬ মাস অতিক্রান্ত হলেও সরকারি ভাবে সাহায্য মেলেনি বাড়ি তৈরির। নিজের সামর্থ্য নেই টাকা খরচ করে বাড়ি তৈরির। ফলে গবাদিপশু সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সরকারি ত্রাণ শিবিরে দিন কাটছে ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জঙ্গল ঘেরা মালকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা দ্বারিকানাথ মাহাতো ও দয়াল মাহাতোর পরিবার। শুধু নিজেরা নন, আত্মীয়-স্বজন এলে তাদেরও থাকতে হচ্ছে ত্রাণ শিবিরে।
ছয় মাস আগে প্রবল বর্ষণে ভেঙে পড়ে মাটির বাড়ি। আশ্রয় নেয় ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা মালকুড়ির ত্রাণশিবিরে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে বারেবারে জানানো সত্ত্বেও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি অভিযোগ। সাধারণ মানুষকে সরকারী সুবিধা দেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার শিবির করছে রাজ্য সরকার। অথচ পঞ্চায়েত থেকে বিডিও দফতরে ঘুরে ঘুরে মেলেনি কোনো সুরাহা। এতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কিন্তু কত মাস, কত বছর এই ত্রাণশিবিরে কাটাতে হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা। অভাবের সংসারে দিন আনি দিন খায় অবস্থা। ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কাজল সিংহ জানান, বিডিও অফিসে জানানো হয়েছে। তবুও বিষয়টি নিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়াকে জানাবেন দ্রুত বাড়ি তৈরির ব্যবস্থা করার জন্য।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us