সরস্বতী পুজোর আগে কপালে চিন্তার ভাঁজ কুমোরটুলিতে

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
সরস্বতী পুজোর আগে কপালে চিন্তার ভাঁজ কুমোরটুলিতে

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ করোনার কোপে বন্ধ স্কুল কলেজ। সরস্বতী পুজোর আগে তার প্রভাব পড়েছে কুমোরটুলিতে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর ধরে করোনার জেরে বন্ধ স্কুল কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। মাঝে একবার তা খুললেই, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ হুহু করে বাড়তে থাকায়, ফের বন্ধ হয়ে যায় স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে জোর চর্চা, সেই জল গড়িয়েছে হাইকোর্টেও। পড়ুয়াদের ৮০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে সময় আদায় করেছে রাজ্য সরকার। এসবের মাঝে রয়েছে সরস্বতী পুজো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধূমধাম করেই পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনকি সাধারণ মানুষও সরস্বতী পুজোয় ভিড় জমায় স্কুল কলেজগুলিতে। পুজোর আর হাতে মাত্র এক সপ্তাহ, সামনের শনিবার সরস্বতী পুজো। কিন্তু করোনার বিধি নিষেধের ফলে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,তাই সেসব জায়গায় এবছর সরস্বতী পুজোর আয়োজন অনাড়ম্বরে হবে বলে মত চন্দ্রকোনার কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের। কুমোরটুলিগুলিতে সরস্বতী প্রতিমার বায়না কম। যেকটি বায়না এসেছে তা একেবারেই কম বলে মত মৃৎশিল্পীদের। তাদের কথায়, এবছর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা স্বল্প বাজেটের ছোট প্রতিমার বায়না করছে। মাটির বড় প্রতিমা তো দূর, কম টাকায় ছোটখাটো ডায়াসের প্রতিমার ডিমান্ড তাদের। এর জেরে আগে যেখানে ৮০ থেকে ১০০-এর উপর প্রতিমা তৈরি হত, এবার তা কমে কোথাও ৩০-৪০ টি আবার কোথাও ৫০ টির মতো প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। শুধু প্রতিমা তৈরির সংখ্যাই কমেনি তার আকার ও বাজেটও কমে গিয়েছে দ্বিগুণ। এর জেরে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা। করোনার জেরে এমনিতেই প্রতিমা তৈরির কাঁচামাল ও সাজসরঞ্জামের দাম দ্বিগুণ, পুজোর আগে এমন চাহিদা ও বায়না হলে খরচটুকুও উঠবে না বলে দাবি মৃৎশিল্পীদের।