বজ্রাঘাতে জীবনহানি!

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
বজ্রাঘাতে জীবনহানি!

আদৃতা ভট্টাচার্য, কলকাতাঃ গত কয়েকদিন ধরেই অল্পবিস্তর বৃষ্টিপাত ও ঈষৎ বজ্রপাত হচ্ছে। হঠাৎই মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কোনো কোনো জায়গায়। শীতকালে এমন বৃষ্টিপাত সচরাচর দেখা যায় না। দক্ষিণ কলকাতাতেও এর ব্যতিক্রম নেই। বাঁশদ্রোণী এলাকায় বাজারের কাছেই কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎই বজ্রপাতে মৃত্যু
ঘটে এক মহিলার। অনুসন্ধান করে জানা যায় যে মিনতি পাল নামক ওই মহিলা গত সোমবার দুপুরে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথেই আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে বজ্রপাতে নিহত হন। ঘটনাস্থলের সামনের বাড়ির এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে," ঘরের জানলা বন্ধ করতে গিয়ে এক মহিলাকে চোখের সামনেই বজ্রাহত হয়ে পুড়ে যেতে দেখি আমি। জীবনে এর আগে কখনও এমনটা আমি দেখিনি এবং দেখব বলে আশাও করিনি। চোখের সামনে এমন বীভৎস মৃত্যুর দৃশ্য দেখা আতঙ্কজনক।" পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে মৃত মহিলার পরিবারে তাঁর স্বামী ও ছোট এক ছেলে রয়েছে। তারা কুঁদঘাট অঞ্চলের বাসিন্দা। স্বামী পেশায় ভ্যান চালক। মিনতি দেবী বাঁশদ্রোণী এলাকাতেই পরিচারিকার কাজ করতেন বেশ কয়েকটি বাড়িতে। স্বামী অসিত পাল বলেন,  "রোজকার মতো সকালে কাজে বেড়িয়ে যায় মিনতি। আমিও এই অঞ্চলেই ভ্যান চালাই। দুপুরে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজে বেড়ায়। আজকে ছেলেটার জন্মদিন। তাই মাংস খেতে চেয়েছিল। কথা ছিল মিনতি কাজ থেকে ফেরার পথে মাংস কিনে নিয়ে যাবে। ছেলেটা আমার ছোট এখন কি বলব ওকে বাড়ি গিয়ে…. "--- বলতে বলতে চোখে জল এসে যায় তার। মানুষের জীবনের মূল্য অধিক হলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ভাগ্যের পরিহাসের ঊর্ধ্বে হয়তো কিছুই নয়।