/anm-bengali/media/post_banners/ePf0KFemjCJ4nnXBkPqT.jpg)
আদৃতা ভট্টাচার্যঃ ওমিক্রন ভাইরাস সারা দেশ জুড়ে প্রভাব বিস্তার করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারেও ওমিক্রন ভাইরাস তার প্রভাব ফেলেছে। যার ফলে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আর্থিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেও প্রভাবিত করছে।
দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকার শ্যামলী দাস নামে এক মহিলা তার ব্যক্তিগত জীবনে ওমিক্রনে আক্রান্ত সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, “আমি আয়া'র কাজ করি। আমার পরিবারে আমি ও আমার স্বামী থাকি। আমার বিগত কয়েকদিন আগে জ্বর, মাথাব্যথা, হাত-পা ব্যথা শুরু হয়। প্রথমে আমি আমার মালকিনকে সেকথা জানাই। তিনি পরীক্ষা করতে বলেন, পরীক্ষায় জানা যায় যে আমি ওমিক্রনে আক্রান্ত। ফলে মালকিন কিছুদিনের ছুটি দেন। আমি আয়া সেন্টার থেকে কাজ করি তাই ঘরে বসে থাকলে মাইনে কাটা যাবে। কিন্তু শরীরের আর আশেপাশের যা হাল তাতে এই অবস্থায় কাজ করার উপায় নেই। তাই কিছুদিনের মাইনে কাটা যাওয়ায় আর্থিক কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রায় তিরিশ বছর ধরে আয়া’র কাজ করছি আমি। অনেক অসুস্থ মানুষের সেবা করেছি। কিন্তু নিজের অসুখে তেমন কেউ সাহায্যের জন্য না থাকায় সমস্যা হয়েছে। সংসারের কাজকর্ম’ও ওই অবস্থায় করতে হয়েছে। মাঝে মাঝে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ‘ও হয়েছে। তবে দিন কয়েক হলো আবার পরীক্ষা করানো হয়েছে এখন আমি সুস্থ আছি। তবে শরীর কিছুটা দুর্বল লাগে আগের তুলনায়।“ ওমিক্রন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা স্পষ্ট নয়। কিন্তু এই ওমিক্রণ মধ্যবিত্তদের জীবনে এক বিভীষিকা হয়ে উঠেছে। যার জন্য জীবনের পরিভাষাই হয়তো ভবিষ্যতে বদলে যেতে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us