হরি ঘোষ,দুর্গাপুর : দিন তিনেক আগে বাঁকুড়ার জয়পুরে মকর সংক্রান্তির এক মেলায় জুয়ার বোর্ড বসানোকে কেন্দ্র করে দ্বন্দে জড়িয়ে যায় তৃণমূল। তৃণমূলের এই প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দে কবির আলী শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে আশংকাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের কাঁকশার বেসরকারি এক হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মাথায় আঘাত নিয়ে ভর্তি করা হয়। আজ রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ কবির আলী শেখ মারা যায়। এরপর ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায় দুর্গাপুরের কাঁকশার ওই বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ, দুপুর ২টো নাগাদ স্থানীয় মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ হটাৎই হাসপাতালে ঢুকে আইসিইউ থেকে কবির আলীর মৃতদেহ তুলে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, নিয়ম না মেনে মৃতদেহ চার ঘন্টা আগেই বের করে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ কে এই কাজে বাঁধা দিতে গেলে হাসপাতালের তিন কর্মীকেও থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এইভাবে চলতে থাকলে হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিষয়টি দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানানো হবে বলে জানান। মৃত তৃণমূল কর্মীর খোঁজে কাঁকশার বামুনারার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে আসেন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখার্জি । হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে গেছে বলে জানানোর পর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে ছুটে যান তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখার্জী। ততক্ষনে আবার ইমার্জেন্সি গেট দিয়ে মৃত তৃণমূল কর্মী কবির আলীর মৃতদেহ পুলিশ বের করে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। এক্কেবারে তাজ্জব বনে গিয়ে ঘোর বিড়ম্বনায় পরে যাওয়া বাঁকুড়ার বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখার্জি মহকুমা হাসপাতাল থেকে রওনা দেয় আসানসোলের দিকে।
বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখার্জি গোষ্ঠীদণ্ডের অভিযোগ মানতে চায়নি। অন্যদিকে মৃত তৃণমূল কর্মীর এক ভাইয়ের দাবি, যারা মারধর করেছে তারা তৃণমূলই করে। আর মৃত তৃণমূল কর্মীর অন্য ভাইদের বক্তব্য,কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে বের করে নিয়ে আসে তারা কিছুই জানেনা এই ব্যাপারে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় যেভাবে শহর দুর্গাপুরে তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে নাটকের ওপর নাটক চললো তা নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। সুর চরলো বিজেপির