/anm-bengali/media/post_banners/sDJybJB3RsU8VKUiOAuE.jpg)
নিউজ ডেস্ক, খেঁজুরি : খেজুরিতে আহত বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করতে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে বোমা বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবার এবং আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ-খবর নিলেন এবং খেজুরির যে অশান্তি রয়েছে সেই অশান্তি বন্ধ করতে হবে বলে বার্তা দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন নিরব অবস্থায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, "এখানে তৃণমূলের কোন শক্তি নেই, ৩০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়ে রয়েছে তৃণমূল। আবারও যদি ভোট হয় এগারোটার মধ্যে দশটা বিজেপির দখলে থাকবে। দুটো পঞ্চায়েত সমিতি পাবে। পুলিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তৃণমূলের ক্যাডাররা দলিত পরিবারদের ওপর এমন অত্যাচার চালাচ্ছে।
অনেকেই আহত হয়েছেন। কোভিড বিধি মেনে আমরা মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কোনও রাজনীতি করতে আসেনি।" তিনি আরও বলেন, "পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে এইসব কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তৃণমূলকে এভাবেই প্রতিষ্ঠিত করাতে চাইছে। খেজুরি বিধানসভার মধ্যে যেসব এলাকায় তৃণমূল হেরেছে সেইসব এলাকায় তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ। তবে আমরা আইনি পথে কোভিড বিধি মেনে এসব রুখব। তৃণমূল খেজুরিকে আবার পুনঃরায় আগের জায়গায় নিয়ে যেতে চায়। সে কারণেই তৃণমূলের পঞ্চায়েতের বাড়িতেই বোমা বাঁধার সময় এমন ঘটনা ঘটে।
যেকারণে আমাদের বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এনআইএর তদন্ত দাবি করে। এই বিস্ফোরকের সরঞ্জাম বোমা বারুদ বন্দুক কারা জোগাড় করছে, তদন্ত হলেই জানা যাবে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় অফিশিয়ালি ভাবে দুজনের মৃত্যু এবং আটজনেরও অধিক আহত জানিয়েছে কিন্তু আমাদের ধারণা ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অধিক মানুষ এই বিস্ফোরণে আহত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ লুকিয়েছে সরকার। অনেক লুকিয়ে-চুরিয়ে বেসরকারিভাবে চিকিৎসা করাচ্ছে তোলামূল। সে কারণে তৃণমূল খেজুরিকে আগের জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে কিন্তু খেজুরির মানুষ শান্তি চাইছে। খেজুরির বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ, তারা তৃণমূলের বোমা বাধা লোকজনদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।"
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত খেজুরি। এবার এলাকা দখলের লড়াইয়ে রক্তাক্ত কাণ্ড। জানা গিয়েছে, ১লা জানুয়ারি, বছরের প্রথম দিন তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের পর বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে তৃণমূলের ৪ কর্মী আহত হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অন্যদিকে খেজুরির ২ নম্বর ব্লকের ভাঙ্গনমারিতে বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে ২ তৃণমূল কর্মীর। গত ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসে পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসে খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের গোড়াহাট, কটকাদেবী চক গ্ৰামে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের উপর তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ করে বিজেপি। বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী কটকাদেবীচক গ্ৰামের বিজেপি কর্মী বুলা গিরিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর রাতে লোহার রড, লাঠি দিয়ে তাঁর পা ভেঙে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
তারপর ফের ২ জানুয়ারি তৃণমূলের পঞ্চায়েত শিলাদিত্য বর, অমলেন্দু বর,সঞ্জয় বরদের নেতৃত্বে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। দেবকুমার মাইতি, অসীম বর,পল্টু বর, রবীন বর, অলকেশ বর- সহ প্রায় ৮ থেকে ১০ জন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাঠ চালানোর অভিযোগ ওঠে। এমনকী মহিলাদের সম্মানহানি করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
উত্তপ্ত হওয়ার পর এমন ঘটনার খবর পেয়ে খেজুরিতে যান বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও স্থানীয় বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us