/anm-bengali/media/post_banners/rWBk2DwBMCczFxikTHpt.jpg)
দিগবিজয় মাহালি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ এমনিতেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে একদিকে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের মরসুমে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, এমনকি তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। আর এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার ফলে চরম দুশ্চিন্তায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা,ঘাটাল,দাসপুরের আলুচাষিরা।জানা যায়, চন্দ্রকোনা ১ ও ২ ব্লক, ঘাটাল,দাসপুর এলাকার কৃষকরা আলু চাষের উপর নির্ভরশীল।এক কথায় এই আলু চাষকে অর্থকারী চাষ বা প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছে চাষিরা। কিন্তু আলু চাষের শুরু থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চরম বাধা সৃষ্টি করেছে ।কৃষকরা জানাচ্ছেন অন্যান্য বছর এই সময় বাজারে চলে আসে পোখরাজ জাতীয় নতুন আলু, কিন্তু এখনো সেই আলু তারা এই বছর ফলাতে পারেনি।তার কারণ কয়েকদিন আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে প্রচুর বৃষ্টি আর তাতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সেই সমস্ত আলু। কিন্তু ধারদেনা করে চাষিরা ভেবেছিলেন তারা হয়তো আবার ঘুরে দাঁড়াবে তাই নতুন করে আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝাতে আবাহাওয়া পরিবর্তনের ফলে আলু নষ্ট হয়ে যাবে বলে কৃষকরা দাবি করছেন। এমনকি যে সমস্ত আলু গাছগুলি জন্ম নিয়েছিল সে আলু গাছের ক্ষেত্রেও দেখা দেবে একাধিক রোগের প্রাদুর্ভাব, আলুগাছ কুঁকড়ে যাচ্ছে,গাছ মরে যাচ্ছে এমনকি পাতাতেও ধরছে পচন। সমস্ত কিছুই এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বলে মনে করছে চাষিরা। তারা জানাচ্ছেন আলু চাষের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় রোদ ঝলমলে আকাশ ও জাঁকিয়ে শীতের। কিন্তু এবছর একেবারে সবকিছুই পুরো উল্টো,জাওয়াদের জেরে পিছিয়ে গেছে চাষ,এখনও মাঠে চলছে আলু লাগানো। এদিকে শীতের মরসুম বলতে হাতে আর মাস দেড়েক।হাজার হাজার টাকা ঋণ নিয়ে প্রায় দুই বার চাষ করে কিভাবে চাষিরা ঘুরে দাঁড়াবে সেটাই এখন বড় প্রশ্নের। অপরদিকে সরকার এখনো চাষীদের জন্য কোন কৃষি ঋণ মুকুব ঘোষণা করেনি। চাষিরা চাইছেন সরকার তাদের পাশে দাঁড়াক তা না হলে আগামী দিনগুলি কি হবে তারা জানে না। এর ফলে বাজারেও পড়বে প্রভাব।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us