/anm-bengali/media/post_banners/57Z9rYiAE0XQljUbjtcc.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দীর্ঘ দিনের সেনা জীবনে বর্ণময় অধ্যায় জড়িয়ে রয়েছে প্রতিরক্ষা প্রধানের।
বিপিন রাওয়াতের সামরিক জীবন
১৯৭৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর গোর্খা রাইফেলসের ৫/১১ ইউনিটে কমিশন পান বিপিন রাওয়াত। গোর্খা রাইফেলসেই এই ইউনিটেই কর্মরত ছিলেন তাঁর বাবা। দীর্ঘ এক দশক ধরে বিভিন্ন জঙ্গি দমন অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। উচ্চ পার্বত্য এলাকায় অভিযান চালানোয় সিদ্ধহস্ত তিনি।
মেজর পদে থাকাকালীন জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে সেনার এক কোম্পানির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে কর্নেল পদে, কিবিথুতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পূর্ব সেক্টরে ১১ গোর্খা রাইফেলসের পঞ্চম ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। নিজের কর্মদক্ষতা এবং দেশের প্রতি ভালবাসায় ক্রমেই সেনার উচ্চ পদে উঠে আসেন তিনি। ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পদোন্নতির পর তিনি সোপোরে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের পঞ্চম সেক্টরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ‘চ্যাপ্টার সেভেন মিশনে’ এক বহুজাতিক ব্রিগেডের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বিপিন রাওয়াতের। সেই দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি দুই বার ফোর্স কমান্ডারের সম্মানে ভূষিত হন।
মেজর জেনারেল পদে আসার পর, রাওয়াত উরিতে ১৯তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরবর্তী সময়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসাবে, তিনি পুনেতে সাউদার্ন বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মাঝে ডিমাপুরে সেনার সদর দফতর তৃতীয় কর্পস কমান্ডারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি সেনা কমান্ডার পদে আসার পর সাউদার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই পদে অবশ্য খুব বেশিদিন ছিলেন না রাওয়ান। দ্রুত তাঁকে আরও বেশি দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিরক্ষায়। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভাইস চিফ অব আর্মি স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব নেন। আড়াই মাস সেই পদে থাকার পর আরও গুরু দায়িত্ব। ওই বছরেরই ১৭ ডিসেম্বর চিফ অব আর্মি স্টাফ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us