হস্তমৈথুনের সময় কী কী একদম করা উচিত নয়!

author-image
Harmeet
New Update
হস্তমৈথুনের সময় কী কী একদম করা উচিত নয়!

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সিম্পল মিনস সেফ! হস্তমৈথুনের সময় এই মন্ত্র মাথায় গেঁথে নিলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, সিম্পল বা সাদামাটা হস্তমৈথুনের বাইরে গিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে অনেকে বিপদ ডেকে আনে। এর ফলে যেমন যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, তেমনই পেনিস চিরকালের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আসুন, দেখে নেওয়া যাক হস্তমৈথুনের সময় কী কী একদম করা উচিত নয়!
১. বোতল এড়িয়ে চলুনঃ হস্তমৈথুনের সময় পেনিস কখনওই বোতলে ঢোকাতে যাবেন না। কারণ, এ সময় পেনিস স্ফীত অবস্থায় থাকে। ফলে, বোতলে পেনিস আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বোতলে পেনিস আটকে গেলে অতিরিক্ত রক্ত এসে পেনিসের মাথায় জড়ো হয়। একে ডিসট্যাল ইডিমা বলে। এর ফলে উত্থিত অবস্থায় পেনিসের যা সাইজ থাকে, তার চেয়েও বড় হয়ে যায়। তখন বোতল কেটে পেনিস বের করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘক্ষণ ডিসট্যাল ইডিমা থাকলে রক্তের চাপে পেনিসের শিরা ফেটে যেতে পারে।
২. শক্ত জায়গায় ঘষাঘষি নয়ঃ হস্তমৈথুনের সময় কোনও শক্ত জায়গায় পেনিস ঘষা উচিত নয়। হাতে আংটি থাকলে তা-ও খুলে রাখা উচিত। কারণ, পেনিস কেটে-ছড়ে যেতে পারে। এই ঘা থেকে ফুরনিয়ার্স গ্যাংগ্রিন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এটি একটি জীবাণুবাহিত রোগ, যা দগদগে ঘায়ের জন্ম দেয়। অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ না হলে অপারেশন করাতে হতে পারে।
৩. জোরে মোচড় নয়ঃ হস্তমৈথুন করার সময় অনেকে সর্বশক্তি নিয়োগ করে পেনিসে মোচড় দেয়। এমনটা কখনও করা উচিত নয়। এর ফলে পেনিসের টিউনিকা অ্যালবুজিনিয়া ছিঁড়ে যেতে পারে। একে ব্রোকেন পেনিস বলে। এর ফলে তীব্র যন্ত্রণা হয়, পেনিস সর্বক্ষণ ফুলে থাকে এবং চিরকালের জন্য পেনিসের উত্থানশক্তি চলে যেতে পারে। ‘ট্রমা অ্যান্ড অ্যাকিউট কেয়ার সার্জারি’ পত্রিকা একটি সমীক্ষায় জানিয়েছে, মোট ব্রোকেন পেনিসের যত ঘটনা ঘটে, তার ৬০ শতাংশই হয় হস্তমৈথুনের সময়।
৪.চলন্ত গাড়িতে হস্তমৈথুন নয়ঃ চলন্ত গাড়িতে হস্তমৈথুন করার সময় ব্রোকেন পেনিস হতে পারে। গাড়ি চালাতে চালাতে হস্তমৈথুন করলে বিপত্তি ঘটে ব্রেক কষার সময়। হঠাৎ করে ব্রেক কষলে উত্থিত পেনিস ধাক্কা খায় স্টিয়ারিংয়ে। এর ফলে ব্রোকেন পেনিস হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে।
৫. ইউরেথ্রায় কিছু ঢোকাবেন নাঃ পেনিসের মাঝখানে যে ফুটো থাকে, তাকে ইউরেথ্রা বলে। ইউরেথ্রা দিয়ে বীর্য এবং প্রস্রাব বের হয়। অনেকে অতিরিক্ত সেনসেশনের লোভে সরু তার, টুথপিক ইউরেথ্রায় ঢোকায়। এটা খুবই বিপজ্জনক। খোঁচাখুঁচির ফলে ইউরেথ্রার ভিতরের দেওয়াল কেটে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এই অবস্থায় প্রস্রাব করার সময় মারাত্মক জ্বালা করে। প্রস্রাব ক্ষতস্থানে লাগার ফলে ইউরেথ্রায় ইনফেকশন হতে পারে। ইউরেথ্রার ভিতর শক্ত জিনিস আটকে গেলে সার্জারি করে তা বের করা ছাড়া উপায় থাকে না। তাই সাবধান!