/anm-bengali/media/post_banners/Yp8mBCfZjWt82960HFrR.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শুধু মাত্র সাময়িক সুখের জন্য নয়, সহবাস বা সোজা কথায় সেক্স যে সুস্থ শরীর ও স্বাভাবিক জীবনধারণের জন্যও প্রয়োজন। তবে সেই সহবাসের ক্ষেত্রেও মেনে চলা উচিত বেশকিছু নিয়ম-কানুন। ঠিক কোন পরিস্থিতিকে সহবাসের জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে, সেটার উপরও নির্ভর করা সুস্থ থাকার কারণ। সেগুলির মধ্যে থেকেই নজর বুলিয়ে নেওয়া যাক ৯টি পরিস্থিতির উপর।​১. ইউটিআই রোগে : ইউটিআই বা উইরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে সঙ্গীর যে কোনো এক জন আক্রান্ত হলেও সহবাস এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, এতে যেমন রোগাক্রান্তের রোগের পরিধি বিস্তারের সম্ভাবনা প্রকট, তেমনই সঙ্গীর শরীরেও সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।​২. গর্ভাবস্থায় নিরাপদ, কিন্ত গর্ভাবস্থায় সহবাস যে নিরাপদ তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানা। কিন্তু এই সময় ঝিল্লির ছিঁড়ে যাওয়া, অমরার অস্বাভাবিক অবস্থান-সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে।
৩. মানসিক দ্বন্দ্ব: সহবাসের প্রথম ও শেষ কথা মানসিক তৃপ্তি। কিন্তু মনের মধ্যে যদি কোনো দ্বন্দ্ব কাজ করে তা অবশ্যও ওই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা ভালো। সেটা হতে পারে সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গিনীর বা যে কোনো এক জনের মনের অস্বাভাবিক অবস্থা।
৪. সন্তান প্রসবের পর: চিকিৎসা শাস্ত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সন্তান প্রসবের পর সহবাসে সচরাচর কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা টানেন না চিকিৎসকরা। কিন্তু, প্রকৃতিগত কারণে অর্থাৎ, প্রসবের পর শরীরকে নিজের অবস্থানে ফিরে আসার সময় দেওয়ার জন্য অনেকেই ৬ সপ্তাহ অপেক্ষা করার কথা বলেন।
৫. যৌনাঙ্গের জ্বালা-যন্ত্রণায়: বিভিন্ন কারণে জননাঙ্গে জ্বালা-যন্ত্রণার সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে সব থেকে বড়ো কারণ কোনো ছত্রাক ঘটিত রোগ। এ সব ক্ষেত্রে সহবাস পুরোপুরি এড়িয়ে চলা ভালো। নইলে রোগ বেড়ে যাবে নিশ্চিত ভাবেই।
৬. ওষুধ এবং মাদক: কোনো কড়া ওষুধ অথবা অ্যান্টিবায়োটিক নিতে থাকলে সহবাসে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। তবে সেটা ওষুধের চরিত্রের উপর নির্ভর করে। অন্য দিকে উত্তেজনা বাড়াতে সহবাসকালে মাদকের ব্যবহার ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।
৭. পেপ টেস্টের আগে: পেপ টেস্টের মাধ্যমে জরায়ু মুখের কোষ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষাটি জরায়ু ক্যান্সারের পূর্বাবস্থা নির্ণয় করতে সক্ষম। এমন কোনো পরীক্ষার আগে কোনো মতেই সহবাস করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৮. যখন নিরাপদ নয়: অবাধ যৌন মিলনের ফলে হতে পারে সন্তানধারণ। গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ভাবে না থাকলে সহবাস এড়িয়ে চলতে হবে। এটা অবশ্য ব্যক্তিবিশেষের নির্দিষ্ট ব্যাপার। কিন্তু আর যাইহোক, গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা মজুত রাখাই শ্রেয়।
৯. জোর নয়: জোর করে সহবাসের কোনো মানেই হয় না। দু’জনের দিক থেকেই সম্মতি না মিললে এক জনের ইচ্ছেয় যৌনক্রিয়া আর যাই হোক, মোটেই সহবাস নয়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us