বন্ধ হোক পৈশাচিক উল্লাস!

author-image
Harmeet
New Update
বন্ধ হোক পৈশাচিক উল্লাস!

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কালিপুজোর দিন আমরা বিভিন্ন রকমের বাজি ফাটাতে পছন্দ করি। কিন্তু বাজি ফাটানোর জন্য বাড়ছিল বায়ুদূষণ ও শব্দ দূষণের মাত্রা। দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবছর মাত্র ২ ঘণ্টা সবুজ বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে অমান্য করেই দেশের বিভিন্ন জায়াগায় ফাটানো হয়েছে শব্দ বাজি।  এর ফলে ফের বেড়েছে দূষণের মাত্রা। দিল্লিতে অন্যান্য দিনের থেকে বেশি মাত্রায় বেড়েছে দূষণ কমে গিয়েছিল দৃশ্যমানতাও। এই সবের মধ্যে সব থেকে দুঃখজনক হল অসহায় পশুদের ওপর অত্যাচার। কালিপুজো  ও দিওয়ালির এই সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবলা পশুদের দেহে বেঁধে  দেওয়া হয় বাজি। এর ফলে আহত হয় অবলা জীবরা। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুরে।   মেদিনীপুরের খরিদা এলাকায় একটি রাস্তার কুকুরের বাঁ দিকের পিছনের পায়ে কে বা কারা বাজি বেঁধে দেয়। তাতে পায়ের অর্ধেক অংশ একেবারে উড়ে গিয়েছে। প্রবল যন্ত্রণায় ছটফট করছে সারমেয়টি। ভাল করে গলা ছেড়ে চিল চিৎকার করার মতোও শক্তি নেই ওর। মানুষ দেখলেই কোঁকাচ্ছে। ভয় পাচ্ছে! কী দিন এল। পশুও মানুষকে ভয় পেতে শুরু করেছে।






মনোবিদের মতে , “আমাদের মেন্টাল ডিসঅর্ডারের সেকশনে এটাকে আমরা কনট্যাক্ট ডিসঅর্ডার বলি। বড় হলে অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি হয়। এই পশু বা যারা অসহায় তাদের প্রতি অত্যাচার করে খুব আনন্দ পায়। তার জন্য পরবর্তী কালে কোনও অনুতাপও কাজ করে না। এই ধরনের ঘটনা যেটা ঘটেছে এটা কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কাজ হতে পারে না। যারা এগুলো করছে তাদের অবশ্যই শনাক্ত করা দরকার এবং আলাদা করে ডিলও করা উচিৎ। কারণ, পরবর্তী কালে এরা অন্যান্য অপরাধও খুব সহজেই করতে পারে।”