নিউজ ডেস্কঃ গোয়ালতোড় - ৩৬৮ বছরের পুরানো পারিবারিক কালী পুজো। সেই কালী পুজোকে এখনও ভক্তি আর সাড়ম্বরে দীর্ঘ ৪৯ বছর ধরে বহন করে চলেছে গোয়ালতোড়ের মেট্যালার ঘোষ পরিবার। পুজো উপলক্ষে আয়োজন করা হয় যাত্রা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলে খাওয়া দাওয়া, হৈ-হুল্লোড়। ফলে গোটা গ্রাম সহ প্রায় আট দশ টি গ্রামের মানুষ মিলিত হয় ঘোষ পরিবারের এই কালী পুজোতে।
গোয়ালতোড়ের মেট্যালা গ্রামের ঘোষ পরিবারের কালী পুজো শুরু করেছিলেন মহেশ ঘোষের দুই ছেলে সূর্য ঘোষ ও হারাধন ঘোষ৷ তাঁদের আদি বাড়ি ছিল গড়বেতার তেলিবনী গ্রামে। ঘোষ পারিবার সূত্রে জানা যায়, বগড়ির জমিদার কৈলাশ রায়ের সঙ্গে অচিন্ত রায়ের সম্পর্ক ভাল থাকার দরুন তাঁর তিন ছেলে কার্তিক, মহেশ ও গোবিন্দকে জমিদারের সেরেস্তার কাজে লাগিয়ে দেন। সেখানেই অচিন্ত ঘোষ এই কালী পুজো শুরু করেন৷
ঘোষ পরিবারে এই কালী পূজো শুরু হওয়ার পিছনে রয়েছে এক অলৌকিক কাহিনী। ঘোষ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের প্রথম পুরুষ অচিন্ত ঘোষ গরুর গাড়ি নিয়ে জঙ্গল থেকে কাঠ নিয়ে ফিরে আসার সময় হঠাৎ করেই গাড়ির উদল ভেঙ্গে যায়৷ এই বিপদে সে মা তারার নাম স্মরণ করতে থাকে। এমন সময় লাল পাড় সাদা শাড়ি পরা একটি মেয়ে তাঁর কাছে এসে কাঁদতে থাকে৷ আর তাঁকে বলে যেন সে তাঁকে নিয়ে যাবে তাঁর বাড়িতে। কিন্তু কার মেয়ে কোথা থেকে এই জঙ্গলে আসলো তা বুঝতে পারে না অচিন্ত ঘোষ৷ যখন অচিন্ত ঘোষ তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে রাজী হয় তখন সেই মেয়েটি মা কালীর মূর্তি ধরে বলে আমার পুজো কর। তোর মঙ্গল হবে।
ঘোষ পরিবারের এই কালী পুজো দীর্ঘ 320 বছর ধরে চলার পর যাতায়াতের অসুবিধার কারনে মহেশ ঘোষের দুই ছেলে সূর্য আর হারাধান ঘোষ সিদ্ধান্ত নেন ধামচা থেকে ঠাকুর এনে মেট্যালা তে প্রতিষ্ঠা করবেন৷ তারপর থেকে সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে শক্তি দেবীর আরাধনা৷