দেবাশিস বিশ্বাস,কোচবিহারঃ সোমবার দিনহাটা বামন হাট বন্দরে প্রচার করতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ল বিজেপি প্রার্থী অশোক মন্ডল। তাকে সামনে পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একটাই প্রশ্ন,"কোথায় নিশীথ প্রামানিক?? যাকে ভোট দিয়ে জয়ী করলাম সে বেইমানি করল কেন??" বাধা পেয়েও এলাকায় প্রচার চালিয়ে যান অশোক মন্ডল। দফায় দফায় শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, অশোক মন্ডল সহ নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। দিনহাটা উপনির্বাচন আগামী 30 তারিখ, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রচার জোরকদমে চলছে, তবে বিজেপি কোণঠাসা। আজ বিজেপি প্রার্থী অশোক মন্ডল এবং নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দিনহাটা বামন হাট এলাকায় দুয়ারে দুয়ারে প্রচার করতে পৌঁছলে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভের অন্যতম কারণ হিসেবে বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের নাম উঠে এসেছে। বলাবাহুল্য সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি দিনহাটায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন এবং 57 ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। এরপর থেকেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে সরে গিয়ে সাংসদ পদে নিজেকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দিনহাটার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল স্তরের বিজেপি কর্মী। কর্মীদের একাংশের কথায়, অনেক হুমকি মারধর সন্ত্রাস উপেক্ষা করে নিশিত প্রামানিক কে জয় দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি বেইমানি করেছেন, সে ক্ষেত্রে বিজেপি আবার কেন প্রচার করতে এসেছে। প্রচার শুরু করতেই তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে সাধারণ মানুষের একটি ভিড় অশোক মন্ডল কে ঘিরে ধরে। গো ব্যাক স্লোগানের পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিকের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। দফায় দফায় ধাক্কাধাক্কি হয় প্রার্থী এবং তাঁর সহকারী মিহির গোস্বামীর সাথে। অশোক বাবু বলেন, ভয় দেখিয়ে কিছু করা যাবে না, আমার প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে। একই সাথে মিহির গোস্বামী বলেন, তৃণমূল স্বৈরাচারী হয়ে আজকে যে ঘটনা ঘটলো তার কৈফিয়ৎ নির্বাচন কমিশনের কাছে দিতে হবে। অবিলম্বে দিনহাটায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ বলেন, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী বিজেপি প্রার্থীর গায়ে হাত দেয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় পৌঁছায় বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় জওয়ানদের একটি অংশ। বর্তমানে এলাকা থমথমে ।