এক নতুন রীতিতে শুরু হয়েছিল কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো, জানুন সেই ইতিহাস

author-image
Harmeet
New Update
এক নতুন রীতিতে শুরু হয়েছিল কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো, জানুন সেই ইতিহাস

​নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এক নতুন রীতি প্রচলন করে মহালয়ার দিন থেকে শুরু করলেন সকলের মঙ্গলকামনায় যজ্ঞ। টানা নবমী পর্যন্ত চলত সেই যজ্ঞ৷ কথিত আছে, মহালয়ার পর থেকে নাকি কখনও আগুন নিভত না যজ্ঞের৷  এখনও সেই প্রথা মেনেই রাজবাড়িতে পুজো হয় একচালার দেবীর৷ প্রতিমার মাটি মাখতে ব্যবহার করা হত শুধুমাত্র গঙ্গাজল৷ নবদ্বীপ থেকে নিয়ে আসা হয় সেই জল৷ আগে পুজোতে বাড়ির মহিলারা উপস্থিত থাকলেও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় দেবীর কাছে যাওয়ার নিয়ম ছিল না৷  তখন নীলকণ্ঠ পাখি দেবীপ্রতিমার সঙ্গে ভাসানে যেত৷ ভাসান হয়ে গেলেই সে ফিরে আসত রাজবাড়ির বারান্দায়; এরপর অন্দরমহলে শুরু হয়ে যেত বিজয়ার প্রস্তুতি৷ এখন  রাজবাড়ির পুজোতে সেই জৌলুস না থাকলেও রয়ে গিয়েছে পুরনো আচার রীতি৷ এখনও দেবীর পুজোয় ব্যবহার করা হয় ১০৮ টি ফোটা পদ্ম৷ জল আনা হয় নবদ্বীপের গঙ্গা থেকে৷ আগে পুজোর পরে তৈরি হত মাটির অসুর মূর্তি৷ রাজা তিরধনুক নিয়ে বধ করতেন তাকে৷ সে রীতিও এখন আর নেই৷ তবে এখনও দেশ বিদেশের লোক পুজোর সময় আমন্ত্রিত হন রাজ দালানে৷