আলিপুরদুয়ারে ভুটানের গাড়ি দিয়ে অবাধে চলছে বালি-পাথরের ব্যবসা

author-image
New Update
আলিপুরদুয়ারে ভুটানের গাড়ি দিয়ে অবাধে চলছে বালি-পাথরের ব্যবসা

সুদীপ ব্যানার্জী, আলিপুরদুয়ার: প্রশাসনের নাকের ডগায় আলিপুরদুয়ারে ভুটানের গাড়ি দিয়ে অবাধে চলছে বালি-পাথরের ব্যবসা।  কাগজে-কলমে গাড়ির মালিক ভুটানের বাসিন্দা। কিন্তু অসাধু ব্যাবসায়ীরা ভারতে গাড়িগুলির মালিক। ডুয়ার্সজুড়ে এই গাড়িগুলি বেআইনিভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে। অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি বালি-পাথরের ব্যবসাই সবচেয়ে বেশি। যার জেরে সরকারের প্রচুর টাকার রাজস্ব মার খাচ্ছে। প্রশাসন বিপাকে। এই গাড়িগুলিকে ধরা হলেও ভারতীয় মালিকরা ভুটানের মালিকদের হাজির করিয়ে নিজেরা তাঁদের কর্মচারী বনে যাচ্ছেন। আলিপুরদুয়ারের আঞ্চলিক পরিবহণ সূত্রের খবর, দপ্তর সবকিছু জানলেও কিছু করতে পারছে না।  তাছাড়া,  ভারতীয় চালকদের ভুটানের গাড়ি চালানোর কোনও বাধাও নেই। য়েহেতু ভুটানের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সেইজন্য বিভিন্ন ধরনের রাজস্বে ভারত সরকার ভুটানকে প্রচুর ছাড় দিয়ে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভুটানের গাড়ি কিনে মালিকানা পরিবর্তন না করেই রমরমিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। এর মধ্যে বালি-পাথরের ব্যবসা সবচেয়ে বেশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ভুটানের গাড়ি কেনার পর ইচ্ছাকৃতভাবেই মালিকানা পরিবর্তন করা হয় না। ভুটানে রোড ট্যাক্স, রুট পারমিট, বিমা, ফিটনেস পরীক্ষা, দূষণ সহ বিভিন্ন খাতে সামান্য টাকা লাগে। কিন্তু এই কাজগুলিই ভারতে করতে হলে লক্ষাধিক টাকা দিতে হয়। ভুটান নম্বরের গাড়ি থাকায় প্রশাসনের নজর এড়ানো সুবিধা হয়। এছাড়া এসব গাড়িতে ভারতের কোনও নাগরিকের মৃত্যু হলে ক্ষতিগ্রস্তের পরিবার একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ পায় না।

মাদারিহাট ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ভারতীয় গাড়িগুলির জন্যই যতরকম নিয়ম। প্রশাসন সব দেখেও চুপ রয়েছে। সংগঠনের এক সদস্যের কথায়, “ভুটানের গাড়িগুলি ভুটান থেকে কোনও সামগ্রী ভারত বা বাংলাদেশে নিয়ে যেতে পারবে বা সেখান থেকে এই জায়গাগুলিতে নিয়ে আসতে পারবে বলে নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ভারত থেকে বালি বা এজাতীয় সামগ্রী তুলে ফের ভারতের মাটিতে ফেলতে পারে না। কিন্তু ডুয়ার্সজুড়ে ভুটান নম্বরের কয়েক হাজার গাড়ি এভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালি-পাথরের কারবার করে আসছে। সংগঠনের আরেক সদস্য বলেন, “ভুটানের গাড়িগুলির কাগজপত্র ঠিক রয়েছে কি না বা সেগুলি ঠিকমতো রাজস্ব দিচ্ছে কি না তা কেউ খতিয়ে দেখে না। এই গাড়িগুলির মাধ্যমে বহু বছর ধরে বেআইনিভাবে ব্যবসা চালানো হলেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না।