ভোলানাথের আবির্ভাবের অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী জামুড়িয়ার বোরিং ডাঙার মানুষ

author-image
New Update
ভোলানাথের আবির্ভাবের অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী জামুড়িয়ার বোরিং ডাঙার মানুষ

হরি ঘোষ, জামুড়িয়া: ছিল জ্যোতির চিহ্ন, মাসের শেষে হয়ে গেল শিবের রুদ্ররূপ নটরাজ। বিষয়টি দেখার জন্য স্থানীয় মানুষদের ভিড়।

ভোলানাথের আবির্ভাবের অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী জামুড়িয়ার বোরিং ডাঙার মানুষ।

বাড়ির মেঝের মধ্যে হঠাৎ একটা চিহ্ন দেখতে পায় বাড়ির মালিক গত শ্রাবণ্ মাসে। বারবার সেই জায়গা পরিষ্কার করার চেষ্টা হলেও পরিষ্কার করা যায়নি এমনটাই জানায় বাড়ির মালিক । বাড়ির মালিক রাজু চৌধুরী ও কিরণ চৌধুরীরা জানান, হঠাৎ শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে ভোলানাথের স্বপ্নাদেশ পান যে, তারা যে জায়গাটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন সেখানে স্বয়ং বাবা শিব বিরাজ করছেন। ঘটনাটি জামুড়িয়া থানার বোরিং ডাঙ্গা এলাকার।

ভোলেনাথ স্বপ্নাদেশে তাদেরকে পুজো করার নির্দেশ দেন, এমনটাই স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তারপর থেকেই হঠাৎ করে সেই ছোট্ট চিহ্নটা ধীরে ধীরে একটা আকার নেয়। শুরু হয় পুজো পাঠ। স্থানীয় পণ্ডিতদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ির মালিক জানতে পারেন যে সেখানে স্বয়ং শিব বিরাজ করছেন, সুতরাং তাঁকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো করতে হবে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই উৎসাহী ভক্তদের ভিড় লেগে যায় রাজু চৌধুরীর বাড়ির সামনে।

বাড়ির মালকিন কিরণ চৌধুরী জানান, ঘর মুছতে মুছতে যখন তিনি সেই চিহ্নটা দেখতে পান ধীরে ধীরে সেটা একটা আকার নেয়। স্থানীয়রা স্থানীয় পণ্ডিতরা তাদেরকে বিধান দেন, এটা শঙ্কর মহাদেবের চিহ্ন, তাই সেখানে শুরু হয় পুজো পাঠ। এ ঘটনায় সেই বাড়িতে ভিড় করছে এলাকার কৌতুহলী মানুষজন। কিরণ দেবী জানান, ভগবান শিবের তার বাড়িতে আসার পর থেকেই বাড়িতে সুখ শান্তি বিরাজ করছে, পুজো করতে প্রচুর মানুষ আসছেন। নিয়মিত সেই চিহ্নটিকে শিব জ্ঞানে পুজো করা হচ্ছে। স্থানীয় পণ্ডিতেরা বিধান দেন, যেহেতু ভাদ্র মাস তাই এই মাসে দেবতার প্রতিষ্ঠা করা যায় না, তাই ভাদ্র মাস পেরিয়ে গেলেই হবে মহাদেবের প্রতিষ্ঠা।

বিজ্ঞানের যুগেও ভগবানের প্রতি বিশ্বাস মানুষের অটুট, এই জামুড়িয়ার বোরিং ডাঙ্গার ঘটনা তারই প্রমাণ দিচ্ছে।