ফুটবল খেলতে নেমে গুলিতে নিহত জেলা শাসক, দিনটি স্মরণ করল শহিদ প্রসস্তি সমিতি

author-image
Harmeet
New Update
ফুটবল খেলতে নেমে গুলিতে নিহত জেলা শাসক, দিনটি স্মরণ করল শহিদ প্রসস্তি সমিতি

নিউজ ডেস্ক, মেদিনীপুর: ১৯৩৩ সালের ২ রা সেপ্টেম্বর সময় বিকেল ৫ টা। পুলিশ প্যারেড মাঠে ব্রেডলি বেড ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় টাউন ক্লাবের সঙ্গে মহামেডাম ক্লাবের ম্যাচ উপলক্ষে লোকে লোকারণ্য মাঠ। স্বয়ং জেলা শাসক ফুটবলপ্রেমী বার্জ টাউন ক্লাবের হয়ে মাঠে নামবেন। বিকেল ৫.১৫ মিনিটে মাঠের পশ্চিম দিকের গোলপোস্টের কাছে এসে থামল জেলা শাসক বার্জের মোটরগাড়ি। পোস্টের দিকে এককদম এগিয়ে আসা মাত্রই তিনগজ দূর থেকে গোল পোস্টের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে থেকে দুইজন খেলোয়াড়ের রিভলবার গর্জে উঠল। গুলি চালাতে চালাতে একজন মাটিতে ধরাশায়ী বার্জের বুকের উপরে বসেই গুলি চালাতে লাগলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বার্জ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

অন্যদিকে হতচকিত হয়ে পড়লেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু তৎপর বার্জের দেহরক্ষীদের গুলিতে একজন ছদ্মবেশী খেলোয়াড় ঘটনাস্থলে, আর একজন পরের দিন মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে জীবন মারা যান। এই দুইজন অকুতোভয় খেলোয়াড় হলেন বিপ্লবী অনাথ বন্ধু পাঁজা ও মৃগেন দত্ত। অত্যাচারী জেলা শাসক বার্জকে হত্যার দিনটিতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে বিপ্লবী অনাথ বন্ধু পাঁজা ও মৃগেন দত্তের মূর্তিতে মালা দিয়ে স্মরণ করল শহিদ প্রসস্তি সমিতি। উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ প্রাণতোষ মাইতি, অধ্যাপক মঙ্গল কুমার নায়ক, পঙ্কজ পাত্র প্রমুখ। সমিতির সদস্য অধ্যাপক মঙ্গল কুমার নায়ক বলেন, তখন দেশজুড়ে চলছে আইন অমান্য আন্দোলন। সেই সময় বিপ্লবতীর্থ মেদিনীপুরে রচিত হচ্ছে স্বাধীনতার রক্তক্ষরা গৌরবের ইতিহাস। অবর্ণনীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঢাকা চট্টগ্রামের মতো মেদিনীপুরের ছাত্র যুবকদের মধ্যে 'তখন "পড়িগেল কাড়াকাড়ি, আগে কেবা প্রাণ করিবেক দান তারিলাগি তাড়াতাড়ি।"