/anm-bengali/media/post_banners/QEC6to6MgUDTZ9qUT3kf.jpg)
সুদীপ ব্যানার্জী, জলপাইগুড়ি: আফগানিস্তানে তালিবান দখলের প্রভাব পড়েছে চা-শিল্পে। আফগানিস্তান দখল করেই তালিবানরা ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। এতে স্বল্পমেয়াদী ক্ষতির পরিমাণ হয়তো খুব একটা বেশি কিছু হবেনা। কিন্তু সুদূরপ্রসারী ফল নেতিবাচক হতে চলেছে বলেই চা শিল্প মহলের আশঙ্কা। চায়ে বহির্বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে দেশগুলি শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল আফগানিস্তান। চা মালিকদের শীর্ষ সংগঠন কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (সিসিপিএ) মতে, ‘আফগানিস্তানে চা পানের প্রবণতা বাড়ছিল। ওদের এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘকালীন মেয়াদে আমাদের জন্য ভালো নয়।‘ অন্যদিকে ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্সঅ্যাসোসিয়েশনের(সিস্টা) মতে ‘করোনা সংকটের কারণে এমনিতে চায়ে রপ্তানি থেকে আয় ক্রমশ কমছে। তার ওপর একটি দেশের এমন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতির পরিমাণ সেটা অল্প হলেও চা শিল্পের কাছে সুখকর নয়।’ টি বোর্ডের শেষ ৪ বছরের তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে ভারত থেকে আফগানিস্তানে চায়ের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭.৬ লক্ষ কিলোগ্রাম। সেবার রপ্তানিজাত আয় ছিল ১১.১৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে রপ্তানি হয় ২০.১৭ লক্ষ কিলোগ্রাম। আয় ছিল ২৬.৮৪ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে রপ্তানি ও আয়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫.৬ লক্ষ কিলোগ্রাম ও ১৪.২০ কোটি টাকা। তার আগের আর্থিক বর্ষে রপ্তানি হয় ৯.৫ লক্ষ কিলোগ্রাম। আয় ছিল ১৬.৯৫ কোটি টাকা। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে করোনা সংকটের কারণে সামগ্রিকভাবেই রপ্তানি কম ছিল। আফগানিস্তানে চায়ের বাজার যে ক্রমশ বিস্তৃত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল তা তালিবান একধাক্কায় পিছিয়ে দিয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কায় রয়েছে এদেশের চা শিল্প।সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে শুধু যে সরাসরি রপ্তানি হতো তা কিন্তু নয়। প্রতিবেশী পাকিস্তান থেকেও সীমান্ত পেরিয়ে অবাধে যাতায়াত হত।উত্তরবঙ্গের চা বাগান বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত কম বেশি ২৫০০ লক্ষ কিলোগ্রামের মতো চা রপ্তানি করে। তার আধ থেকে ১ শতাংশ আফগানিস্তানে যায়। গত দু’বছর ধরে করোনা সংকটের কারণে এমনিতেই চা শিল্পের পরিস্থিতি ভালো নয়। এরই মধ্যে ভারত-আফগানিস্তান আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় সংকটে চা-শিল্প।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us