একের পর এক হামলা, জঙ্গলমহলে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ

author-image
Harmeet
New Update
একের পর এক হামলা, জঙ্গলমহলে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোমবার রাতে জঙ্গলমহলে হাতির হানায় ২ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর মঙ্গলবার ফের হাতির তাণ্ডব। হাতির হামলায় গুরুতর আহত ১ ব্যক্তি। আহতকে ইতিমধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

সোমবার সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ হাতির হানায় মৃত্যু হয় সুজিত মাহাতো নামে কলাইকুন্ডার এক ব্যক্তির। ওই একই দিন রাত ১০ টা নাগাদ হাতির হামলায় প্রাণ যায় নমিতা মাহাতো নামে এক বৃদ্ধার। এর কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ফের হাতির হামলা এলাকায়। নয়াগ্রাম থানার চাঁদাবিলা রেঞ্জে হাতির হামলায় গুরুতর আহত কার্তিক রানা নামে এক স্থানীয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও এ প্রসঙ্গে বনদপ্তরের তরফ থেকে দোষ চাপানো হয়েছে জনসাধারণের ওপর।
 


বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমাদের রাজ্যে প্রায়ই দেখা যায় হাতির পালকে বিরক্ত করা হয়। হাতির পালের উপর আক্রমণ চালান স্থানীয়রা। তাদেরকে বিরক্ত করার ফলে দলছুট হয় কিছু হাতি। সেই হাতিরা পরে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, মানুষের উপর হামলা চালায়। এক্ষেত্রে আমরা দলছুট হাতিগুলোকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু হাতি চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘেরাটোপের মধ্যে দিয়ে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"

রাজ্যে জঙ্গলমহলে হাতি নিয়ে এতো সমস্যা কেন? প্রশ্ন করা হলে বনদপ্তরের আধিকারিক জানান, "অনেক সময় মানুষের তাড়া খেয়ে দলছুট হয় বাচ্চা হাতি। এরকম ঘটনা ঘটলে আমরা বাচ্চা হাতি উদ্ধার করে দলে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় দেখা যায় দল ওই বাচ্চা হাতিকে ফিরিয়ে নিতে চাইছে না। তখন দল ফিরিয়ে না নিলে ওই বাচ্চা হাতিকে উত্তরবঙ্গের কোনও জঙ্গলে অন্য হাতির দলের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানে বাচ্চা হাতটি মানিয়ে নিতে না পারলে, বনদপ্তরের তরফ থেকে নিজেরাই ওই বাচ্চা হাতিকে চিকিৎসা করে নিজেদের ঘেরাটোপের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়।"