সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্য বোঝাতে গিয়ে চাষীদের ক্ষোভের মুখে বিডিও ও কৃষি আধিকারিক

author-image
Harmeet
New Update
সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্য বোঝাতে গিয়ে চাষীদের ক্ষোভের মুখে বিডিও ও কৃষি আধিকারিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে আলু বিক্রির বিষয়ে চাষীদের বোঝাতে গিয়ে চন্দ্রকোনায় চরম ক্ষোভের মুখে পড়েন বিডিও ও কৃষি আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সীতানগরে। মাঠে প্রশাসনের আধিকারিকদের দেখে রীতিমতো তেড়ে আসেন এক আলু চাষী। ক্ষুব্ধ আলু চাষীর বিডিও-কৃষি আধিকারিকদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন 'আলু চাষের সময় যখন সারের কালোবাজারি হচ্ছিল তখন চড়া দাম দিয়ে সার কিনতে হয়েছিল,তখন কি সহ কৃষি আধিকারিক নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল?' আর এরপরই ব্লকের বিডিও ও ব্লকের কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন এক আলু চাষী, কিছুক্ষণ পর ওই আলু চাষীর পাশে দাঁড়ান আরও বেশ কয়েকজন চাষী। জানা গিয়েছে, সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্য বোঝানোর জন্য আজ চন্দ্রকোনার সীতানগর এলাকার একটি মাঠে যান চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ, ব্লকের কৃষি আধিকারিক শ্যামদুলাল মাসান্ত। সীতানগর এলাকার মাঠে আলু চাষীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চরম ক্ষোভের মুখে পড়েন বিডিও ও কৃষি আধিকারিক। আধিকারিকদের কিছু বলার আগেই তাদের মাঠ থেকে চলে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দেন ক্ষুব্ধ আলু চাষীরা। ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিডিও ও কৃষি আধিকারিককে। ক্ষুব্ধ আলু চাষী বরুণ দাস জানান, 'যখন সারের কালোবাজারি হচ্ছিল তখন চড়া দাম দিয়ে সার কিনে চাষ করতে হয়েছে। আলুর ফলন কম তার উপর বর্তমানে যা দাম চলছে তাতে খরচ উঠবে না। সরকার ৬৫০ টাকা দিয়ে আলু কিনবে বলছে কিন্তু বাজারে দাম চলছে ৬০০ টাকা। তাহলে সরকারকে কেনো আলু দিতে যাব। সরকার সহায়ক মূল্যের দাম বাড়াক না হলে বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানোর ব্যবস্থা করুক। সরকার বিগত বছরে আলু বাইরের রাজ্যে যেতে না দিয়ে চাষীদের ক্ষতি করেছে।' যদিও এই বিষয়ে সরাসরি কিছু মন্তব্য করতে না চাইলেও ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ মেনে নেন, সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে আলু বিক্রির জন্য এখনও পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি চাষীদের। চারদিন হয়ে গেলেও আলু বিক্রির জন্য দপ্তরে কোনও আবেদন জমা পড়েনি। তবে তিনি জানান, চাষীরা যাতে সঠিক দাম পান সেই জন্য সরকারের এই পদক্ষেপ।