/anm-bengali/media/post_banners/h7jamUeWSjkpE0wnVCHG.jpg)
সুদীপ ব্যানার্জী, আলিপুরদুয়ার: এবার রাজ্যের শিক্ষা প্রশাসনেও উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত বলে অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগ তুললেন সরকারি স্কুল পরিদর্শকরা। একই সঙ্গে স্কুল পরিদর্শকদের বেতন কাঠামোর পরিবর্তন, স্কুল পরিদর্শকদের বদলির জোন বৃদ্ধি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্কুল পরিদর্শকদের হয়রানিমূলক বদলি বন্ধ, শিক্ষা প্রশাসনিক সার্কেল বৃদ্ধি, অবিলম্বে স্কুল খোলার ব্যাবস্থা করা সহ একাধিক দাবিতে রাজ্য সরকারের স্কুল পরিদর্শকরা সরব হয়েছেন। শনিবার পশ্চিম বঙ্গ বিদ্যালয় পরিদর্শক সমিতির আলিপুরদুয়ার জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক জেলা সন্মেলন হয়। আলিপুরদুয়ার শহরের ক্লাউড লাইন ভবনে এই সন্মেলনে জেলার ডান, বাম বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই সন্মেলনে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন স্কুল দফতরের ডেপুটি ডাইরেক্টর দিব্য গোপাল ঘটক উপস্থিত ছিলেন। এদিনের সন্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্য ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এদিন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দিব্য গোপালবাবুর ভাষণের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সামনেই স্কুল পরিদর্শকরা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। এদিন দিব্য গোপাল ঘটক বলেন, " রাজ্য সরকার জনহিতকর প্রকল্পের ৪০ শতাংশ স্কুল প্রশাসনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। আমরা দিন রাত কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি এবং এখনও করছি। কিন্তু স্কুল পরিদর্শকদের হয়রানির বদলি বন্ধ করতে হবে। একজন ডিআই অনেক প্রধান শিক্ষকের থেকে কম বেতন পান। এটা কোনও যুক্তিতেই মানা যায় না। উত্তরকন্যা হয়েছে কিন্তু উত্তরকন্যায় শিক্ষা প্রশাসনের পেনশন ছাড়া কার্যত আর কোনও কাজ হয় না। স্কুল পরিদর্শকদের কলকাতায় ছুটতে হয়। উত্তরকন্যায় শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্ব ও কাজ বাড়াতে হবে। করোনার সময় সব সরকারি কর্মচারিরা বাড়ির সামনে থাকার সুযোগ পায় আর স্কুল পরিদর্শকদের বেলায় তা হয় না।"
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us