দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : থ্যালাসেমিয়া রোগীদের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পেতে রোগীকে নিয়ে রোগীর পরিজনদের ছুটতে হত কলকাতায়। সেই দুরত্ব এবং ভোগান্তি ঘুচলো থ্যালাসেমিয়া রোগী ও তার পরিজনদের। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল থেকে শতাধিক থ্যালাসেমিয়া রোগীকে দেওয়া হল প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, খুশি রোগীর পরিজনরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে শিবির করে ১৩০ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রতিবন্ধী শংসাপত্র। ঘাটাল হাসপাতাল ও মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খড়গপুর হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া কেয়ার ইউনিটের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতিতে শিবিরের মাধ্যমে ১৩০ জন রোগীকে শংসাপত্র প্রদান করা হয়।
এদের আগেই চিহ্নিতকরণের কাজ সম্পন্ন করে রাখা হয়েছিল।পাশাপাশি এদিন শিবিরে আরও থ্যালাসেমিয়া রোগী তাদের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পেতে ভিড় জমান। তাদের চিহ্নিতকরণের কাজও করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে এদেরও এই হাসপাতাল থেকেই শংসাপত্র প্রদান করা হবে বলে জানা যায়।মহকুমা হাসপাতাল থেকে শিবির করে এতো সংখ্যক থ্যালাসেমিয়া রোগীকে শংসাপত্র প্রদান এই প্রথম, এমনটাই জানাচ্ছেন মহকুমাশাসক থেকে হাসপাতালের সুপার।ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, 'এর আগে এই শংসাপত্র পেতে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে হত। সেটা কষ্ট জনিত ব্যাপার ছিল রোগীর পরিজনদের কাছে।এটা আজকে আমাদের ঘাটাল মহকুমার জন্য হচ্ছে সত্যি ভালো খবর যে তারা বাড়ির পাশেই এই কাজটা করাতে পারছে।' একই বক্তব্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে সুপার সুব্রত দে'র।রোগীকে নিয়ে জেলা থেকে সূদুর কলকাতায় ছুটাছুটি করতে হবেনা,মহকুমা হাসপাতাল থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগীরা হাতেহাতে তাদের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাওয়ায় খুশি।