হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে এসে মেজাজ হারালেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দুপুর একটা নাগাদ তিনি এসে পৌঁছান রানীগঞ্জের বাঁশড়া গ্রামে। প্রথমেই তিনি সদলবলে ঢাকঢোল বাজিয়ে মন্দিরে পুজো দিয়ে মানুষজনের কাছে অভাব অভিযোগের বিষয় জানতে যান। এলাকার বাউড়ি পাড়ায় অসংখ্য বাসিন্দা নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা তাকে জানাতে গেলে সেই সময় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে বিধায়ক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ছবি তুলতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। দাবি করেন, তিনি নিজে সাংবাদিক তাই সকলের সঙ্গে তিনি একান্তভাবে কথা বলবেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলবেন না বলেই সাফ জানিয়ে দেন। বিষয়টি লক্ষ্য করে স্থানীয় এলাকার মানুষজনেরাও তাদের অভাব অভিযোগের কথা বিধায়ককে বলতে না পেরে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। তাদের দাবি, এলাকার কোনও উন্নয়নের কাজই হয়নি। রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা থেকে শুরু করে বাড়ি ঘর বানানোর ক্ষেত্রে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাফ-সাফাই তো হয় না কোন এলাকাতেই, এছাড়াও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত বলেই দাবি করেন। যদিও পরে এই ঘটনার জন্য তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তিনি শুধুমাত্র প্রত্যেককে নিজেদের কথা বোঝানোর জন্য এমনটি করেছিলেন। তিনি নিজেও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। তাই তিনি অনুরোধ করেছিলেন মাত্র। যদিও বাস্তবে দেখা যায় অনুরোধ নয়, তিনি হুঁশিয়ারি সুরে সংবাদ মাধ্যমের বেশ কয়েকজন সদস্যকে তাদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়ার সঙ্গে কোথায় তারা কাজ করেন তাদের দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও হুমকি দেন যা নিয়েও তিনি অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করেন। এ বিষয়ে বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন।