নবান্নের অফিসারদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রাম পণ্ডা

author-image
Harmeet
New Update
নবান্নের অফিসারদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রাম পণ্ডা

দিগ্বিজয় মাহালী, পূ্র্ব মেদিনীপুর : কাঁথি পুরসভার একাধিক দুর্নীতি নিয়ে বিগত বছরে বিস্তর চর্চা হয়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে কাঁথি পুরসভায় ঠিকাদারি করার অভিযোগও সামনে এসেছিল। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পণ্ডার স্ত্রী কাকলী পণ্ডা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পণ্ডা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার এই মামলার জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। এল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। জামিন পাওয়ার পর রাম পণ্ডা কাঁথিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। ​বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তমলুক কোর্টে নিয়ে যাওয়ার নামে তাকে নন্দকুমার এলাকায় নির্জন এক ফাঁকা ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সাদা পোশাকের তিনজন অফিসার সেই নির্জন ঘরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে এক প্রকার মানসিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। নবান্নের ওই অফিসাররা তার সামনে টেবিলে বন্দুক বের করে রাখেন। একপ্রকার তাকে ভয় দেখিয়ে জোর করে বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় যে শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় রয়েছে। মামলা সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন না করে শুভেন্দু অধিকারীর নামে বাজে কথা বলানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান তিনি।এমনকি তাদের কথা মতো বিবৃতি না দিলে তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করার ভয় দেখানো হয়।


তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুপুরে রাজকীয়ভাবে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের মেনুতে ছিল নানান ধরনের ভাজা, চিংড়ির মালাইকারি, মাংস, দই, মিষ্টি। যদিও রাম পণ্ডা কোনও কিছুই মুখে তোলেননি। সন্দেহ হয়েছিল খাবারে কোনও কিছু মিশিয়ে তার মুখ দিয়ে কিছু বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হবে, সেই ভয়েই তিনি কোনও খাবার মুখে তোলেননি।যাকে দিয়ে কেস করিয়েছিলেন সেই কাকলি পণ্ডার বাড়ি এখনও পর্যন্ত মোড়া রয়েছে সিআরপিএফ দিয়ে। তিনিও এখন আতঙ্কে রয়েছেন।ওই নির্জন ঘরে নবান্নের তিন অফিসারের পাশাপাশি কাঁথি থানার আইসি পর্যন্ত উল্টোপাল্টা ভাষায় আক্রমণ করেন তাকে, এমনকি ভয় পর্যন্ত দেখায় এবং গালিগালাজ করে বলে জানাচ্ছেন রাম পণ্ডা। এমনকি, নবান্নের ওই অফিসারদের সিকিউরিটি গার্ডরা রাম পণ্ডার পেটে স্টেন গান দিয়ে খোঁচা মারে এবং হিন্দিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে জানান তিনি।