সন্তান জন্ম না দিতে পারায় গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

author-image
Harmeet
New Update
সন্তান জন্ম না দিতে পারায় গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, অন্ডালঃ সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল অন্ডালে । ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামে। বছর পাঁচেক আগে কাঁকসা থানার জাটগড়িয়া এলাকার বাসিন্দা কেয়া গড়াইয়ের বিয়ে হয় অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামের গড়াই পাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণ গড়াইয়ের সঙ্গে। কৃষ্ণ গড়াই পেশায় ইসিএল কর্মী। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়ের বিয়ের পাঁচ বছর হলেও কোন সন্তান হয়নি। এই কারণেই শশুর বাড়ির লোকজন তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এছাড়াও মাঝেমধ্যেই টাকা-পয়সা চাওয়া হত মেয়ের শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে।





মৃতার কাকা পূর্ণচন্দ্র গড়াই অভিযোগ করেন, তারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের, বহু কষ্ট করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে হামেশাই টাকা পয়সা চাওয়া হতো, অত্যাচার করা হতো তাদের মেয়ের উপর। তাদের মেয়ের সন্তানের জন্ম না হওয়ায় দক্ষিণ ভারতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দেখানোর জন্য এক লক্ষ টাকা দাবি করা হয় তাদের কাছে। কষ্ট করে সেই টাকাও দেওয়া হয় বলে জানান পূর্ণ চন্দ্র গড়াই ,কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির এলাকার মানুষ ফোন করে তাদের ঘটনার কথা জানায় । পূর্ণচন্দ্র বাবু বলেন, 'তড়িঘড়ি তারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন মৃত অবস্থায় উঠোনে নামানো আছে তাদের মেয়ের নিথর দেহ । তাদেরকে জানানো হয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে কেয়া।' কিন্তু মৃতার পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আর এর জন্য মেয়ের শ্বাশুড়ি ও জামাই দায়ী। অন্ডাল থানার পুলিশ বছর ৪০ এর গৃহবধূ কেয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় । মৃতার পরিবারের তরফে দাবী জানানো হয় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির। অন্ডাল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।