পানীয় জলের সংযোগ থাকলেও পৌরসভার ট্যাঙ্কই একমাত্র ভরসা গ্রামবাসীদের

author-image
Harmeet
New Update
পানীয় জলের সংযোগ থাকলেও পৌরসভার ট্যাঙ্কই একমাত্র ভরসা গ্রামবাসীদের

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : বাড়ি বাড়ি পৌরসভার পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হলেও তাতে গোড়া থেকেই জল পড়ে না। অপরদিকে, পৌরসভার ট্যাপগুলিতেও পর্যাপ্ত জল না পড়ায় পানীয় জলের সমস্যায় বাসিন্দা থেকে ওয়ার্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। পৌরসভার পাঠানো জলের ট্যাঙ্কই একমাত্র ভরসা চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা থেকে ওয়ার্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিগত একবছর যাবত এমনই পানীয় জলের চরম সমস্যায় ভুগছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা,জলের সমস্যায় জেরবার ওয়ার্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলও। 


জানা যায়, একবছর আগে চন্দ্রকোনা পৌরসভার পক্ষ থেকে ৭ নং ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। মিটার সমেত বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হলেও তাতে শুরু থেকেই জল পড়ে না বলে দাবি পানীয় জলের সংযোগ পাওয়া উপভোক্তাদের।পাশাপাশি ওই ওয়ার্ডে যেকটি পৌরসভার পানীয় জলের ট্যাপ রয়েছে সেগুলিতেও পর্যাপ্ত জল পড়ে না বলে অভিযোগ ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। যার জেরে পানীয় জল পেতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় ওয়ার্ডবাসীকে। তাদের অভিযোগ,বাড়ি বাড়ি সংযোগ থাকলেও তাতে জল পড়ে না, ওয়ার্ডে পৌরসভার যেকটি ট্যাপ রয়েছে তাতেও পর্যাপ্ত জল পড়ে না।যার জেরে পানীয় জল পেতে পৌরসভার পাঠানো জলের ট্যাঙ্ক অথবা অন্যত্র ছুটতে হয় জল সংগ্রহ করতে। এছাড়াও পৌরসভার ট্যাপে ঝিরঝির করে যে জল পড়ে তাতে জল নিতে গিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, এমনকি একে অপরের সাথে মারপিট পর্যন্ত গড়ায় জল আনাকে কেন্দ্র করে। ওয়ার্ডের সব জায়গায় পৌরসভার তরফে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পৌঁছায় না, এমনই দাবি ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।


 তাদের দাবি, এনিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ সবাই সবকিছু জানলেও কোনও স্থায়ী সুরাহা হয়নি। ওয়ার্ডে পর্যপ্ত পানীয় জল সরবরাহ না থাকায় জলকষ্টে পড়তে হয় ওয়ার্ডের বোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়কেও।ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, স্কুলে জল সংগ্রহ করে রাখার জন্য ট্যাঙ্ক বসানো রয়েছে কিন্তু জলের ফোর্স না থাকায় সেই ট্যাঙ্ক ভর্তি হয় না। এদিকে বাইরে সরকারি ট্যাপ থেকে জল আনতে গেলেও সেখানে পর্যাপ্ত জল পড়ে না। এনিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে পৌরসভার তরফে স্কুলের সামনে একটি জলের ট্যাঙ্কি পাঠানো হয় সেখান থেকে মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা বালতিতে করে জল সংগ্রহ করে নিয়ে আসে, তাতেই মিড ডে মিলের রান্না হয়। 


বিগত একবছর যাবত স্কুলের পাশাপাশি ওয়ার্ডেও এরকম পানীয় জলের সমস্যা চলছে বলে জানান বোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিউসী বাগ সানা।পানীয় জলের সমস্যায় খোদ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও, বাড়ির সামনে পৌরসভার ট্যাপ থাকলেও তাতে পর্যাপ্ত জল পড়েনা অগত্যা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীতা খাঁড়া'ও পৌরসভার পাঠানো জলের ট্যাঙ্ক থেকেই জল সংগ্রহ করেন।এবিষয়ে তিনি বলেন,জলের সমস্যা একটা রয়েছে,যার জেরে পৌরসভার তরফে ওয়ার্ডে জলের ট্যাঙ্ক সরবরাহ করা হচ্ছে।তবে ওয়ার্ডে নতুন করে একটি পানীয় জলের পাম্প হাউস বসানো হবে,খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।নতুন পাম্প হাউস বসানো হয়ে গেলে জলের সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি জানান।

এবিষয়ে চন্দ্রকোনা পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র জানান,ওয়ার্ডে জলের সমস্যা নেই তবে একজায়গায় একটু সমস্যা রয়েছে সেখানে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে।তিনি এও জানান,পৌরসভায় নতুন করে মোট ৫ টি পাম্প হাউস তৈরি হবে তারমধ্যে ৭ নং ওয়ার্ডেও একটি নতুন পাম্প হাউস বসানো হবে।বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ সত্ত্বেও তাতে জল না পড়া প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান জানান,পাম্প হাউসের সমস্যা থেকেই জল সরবরাহ পর্যাপ্ত নেই,তাই নতুন পাম্প হাউস বসানো হবে ওই ওয়ার্ডে। বিগত প্রায় একবছর ধরে জলকষ্টে ভুগছে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা,বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ থেকেও তা না থাকারই সমান এমতবস্থায় পৌরসভার ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।এখন দেখার কবে ওয়ার্ডে নতুন পাম্প হাউস বসে আর ওয়ার্ডে জলকষ্ট থেকে রেহাই মিলে ওয়ার্ডবাসীর।