দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : ডেবরায় সিপিএমের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যের তিনতলা পাকা বাড়ি রয়েছে।এরপরেও আবাস যোজনায় নাম আসায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ বলে দাবি তৃণমূলের।২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন সিপিএমের প্রধান। বর্তমানে স্বামী সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য। ঝাঁ চকচকে মার্বেল ও টাইলস লাগানো তিনতলা পাকা বাড়ি। আর সেই স্বামীর অর্থাৎ সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত পন্ডার নামে এসেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির নাম। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ডুঁঞ্যা ১০/১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশং এলাকার।
২০১৩ সালে সিপিএমের টিকিটে জিতে অঞ্চল প্রধান হন লক্ষ্মী পন্ডা। তারপর ২০১৮ সালে সিপিএমের টিকিটে পঞ্চায়েতে জয়লাভ করেন স্বামী রঞ্জিত পন্ডা। এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতাও বটে। আর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম আসায় শুরু হয়েছে জল্পনা। তড়িঘড়ি এই নাম প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি বাড়ি ইনকোয়ারি করতে দৌঁড় দিলেন বিডিও ও থানার পুলিশ। যদিও সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত পন্ডা জানিয়েছেন, তিনি এই বাড়ি নেবেন না ফিরিয়ে দেবেন। পাশাপাশি সিপিএম নেতৃত্ব যারা আছেন যাদের নামে বাড়ি এসেছে তারা সবাই বাড়ি ফিরিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে, তৃণমূল নেতা অলোক আচার্য বলেন, 'ওনার এই বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ। কারণ তিনতলা বাড়ি থাকার পরেও উনি যদি এই বাড়ির টাকা নেন, তাহলে তৃণমূল সরকারের বদনাম হবে। ওনার বদলে এই বাড়ি অন্য একটি গরীব মানুষ পেলে আমরা খুশি হবো।'