আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম সরাতে বিডিও অফিসে তৃণমূল নেতৃত্ব!

author-image
Harmeet
New Update
আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম সরাতে বিডিও অফিসে তৃণমূল নেতৃত্ব!

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : আবাস যোজনায় উলোটপুরাণ! আবাস যোজনার তালিকায় নাম উপপ্রধান থেকে পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পরিবারের সদস্যদের। তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে বিডিও অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদন জমা উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যর। যাকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের। ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ইকবাল সরকার, তার রয়েছে পাকা বাড়ি। ২০১৭-১৮ সালের আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠেছিল উপপ্রধান ইকবাল সরকারের, বর্তমানে আবাস প্লাসে নাম রয়েছে তার। তাই তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের বিডিও অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদন জানালেন তিনি।তার দাবি,২০১৭-১৮ সালে আবাস যোজনায় তালিকাভুক্ত হয়েছিল তার নাম তৎকালীন সময়ে তার মাটির বাড়ি ছিল। বর্তমানে তার পাকা বাড়ি রয়েছে তাই তালিকা থেকে তার নাম বাদ দিয়ে যাদের বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হোক বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে, ব্লকের বান্দিপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য তথা বান্দিপুর ২ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসীম হাজরা, তার মা বিজলা হাজরা ও দাদা আনন্দ হাজরার নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। ইতিমধ্যে তাদের পাকা বাড়ি রয়েছে। তাই তালিকা থেকে মা ও দাদার নাম বাদ দিতে লিখিত আবেদন নিয়ে চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লক বিডিও অফিসে হাজির খোদ পঞ্চায়েত সদস্য অসীম হাজরা। তিনিও বিডিও অফিসে নাম বাদ দেওয়ার লিখিত আবেদন জমা দেন।উপপ্রধানের মতোই পঞ্চায়েত সদস্যর দাবি, ২০১৮ সালে এই তালিকা হয়েছিল তখন মাটির বাড়ি ছিল মাঝে কয়েকটা বছর পেরিয়ে গেছে বর্তমানে পাকা বাড়ি রয়েছে।কিন্তু তালিকায় মা ও দাদার নাম থাকায় তাদের সহমতেই বিডিও অফিসে লিখিত আবেদন জমা দিলাম যাতে তাদের নাম বাদ দিয়ে যাদের মাটির বাড়ি রয়েছে বা যারা প্রাপ্য তাদের দেওয়া হোক।



পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদেরকেও নিজে থেকে এগিয়ে এসে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।এদিকে তৃণমূলের উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যর বিডিও অফিসে গিয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা দেওয়াকে কটাক্ষ বিজেপির।এবিষয়ে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি বলেন,যখন লিস্ট হয়েছিল তখন বাড়ি চুরি করার জন্য নিজেদের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে ছিল,এখন সাধু সাজার জন্য ওই আবেদন করেছে।কিন্তু মানুষ জানে কে চোর আর কে সাধু,তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতৃত্বরা সবাই চোর এটা বারবার ধরে প্রতিষ্ঠিত ও প্রমানিত।"যদিও এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইনি চন্দ্রকোনা ২ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।