হরি ঘোষ, পাণ্ডবেশ্বর : ফের সম্প্রীতির কালী পুজো দেখল পাণ্ডবেশ্বর। বুধবার অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যা তিথিতে নানা জায়গায় কালীপুজো করা হয়। কোথাও রটন্তী কালি, কোথাও দক্ষিণা কালী, কোথাও বা অগ্রহায়ণ মাস বলে অঘ্রনে কালী নামে পূজিতা হন মা কালী। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ইসিএল এর বাকোলা এরিয়ার সংকল্প খনিতে দেখা গেল সম্প্রীতির নজির। এই খনিতে কালীপুজো হয়ে আসছে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে। খনির কর্মীরাই এই কালীপুজো করে থাকেন। তবে, এই কালীপুজোর মূল আকর্ষণ, এই কালীপুজোর মূল দায়িত্ব পালন করেন কোলিয়ারির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। /)
কালীপুজোর আচার অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত কিছু দায়িত্ব পালন করেন এরা । এদের সাথে অবশ্যই পাল্লা দিয়ে সমানভাবে কাজ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের খনি কর্মীরাও। এখানে কর্মীদের সাথে সমানভাবে সহযোগিতা করেন কোলিয়ারির আধিকারিকরাও। কালীপুজোর মূল উদ্যোক্তা মোঃ মোস্তাকিন, সেখ সিরাজ, সাইদুল শরীফ,প্রসেনজিৎ মন্ডল ও প্রাক্তন ম্যানেজার তথা বর্তমানে বাঁকুড়া এরিয়ার তিলাবনী কোলিয়ারির এজেন্ট অনুপ মন্ডলরা জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে একইভাবে ভক্তির সাথে পালিত হয়ে আসছে কালীপুজো। এই কালীপুজোর উদ্যোক্তা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা জানান অনুপ বাবু ।
/)
পুজো কমিটির মূল উদ্যোক্তা মোঃ মোস্তাকিন জানান, এই কোলিয়ারিতে হিন্দু-মুসলিম একসাথে মিলে মিশে থাকেন। তিনি বলেন, তিনি মনে করেন ধর্ম কখনো বিভেদ শেখায় না। আর হিন্দু-মুসলমান এখানে একটা দল হয়ে কাজ করে। অগ্রহায়ণ মাসের এই কালীপুজোয় হিন্দু মুসলিম একই সাথে খুব আনন্দ করে। এক কথায় খনি অঞ্চল পাণ্ডবেশ্বর এর এই সংকল্প কোলিয়ারি কালীপুজোয় নজির গড়লো সম্প্রীতির। তিনি বলেন, যেখানে সারাদেশে, তথা বিশ্বে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন রাজনীতিবিদরা, সেখানে তাদের কোলিয়ারির এই চিত্র সকলের দেখা উচিত। কিভাবে দুটি ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের আনন্দ ভাগ করে নেয় । কালীপুজো ঘিরে কোলিয়ারি চত্বরে হয় নরনারায়ণ সেবার অনুষ্ঠানও।