/anm-bengali/media/post_banners/4syTWwm5ow8nf9FPA9J1.jpg)
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : রাসায়নিক সার নিয়ে চলছে কালোবাজারি। অভিযোগ কৃষকদের। চড়া দামে কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার। এমনকি মাঝে মধ্যে দোকানদার জানিয়ে দিচ্ছেন, সার নেই। টাকা বেশি দিলে মিলবে সার। এর ফলে বিপাকে পড়ছে কৃষকেরা।ইতিমধ্যে সারের দাম নিয়ে পথে নেমেছে কৃষকরা। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে আন্দোলন নেমেছে বিজেপি সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। সারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বর্তমানে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি।
শুরু হয়েছে আলু চাষের মরসুম। অন্যান্য কৃষিকাজের তুলনায় আলু চাষে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় অনেকটাই বেশি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাসায়নিক সার নিয়ে ব্যাবসায়ীরা কালো বাজারি করছে অভিযোগ তুলছেন কৃষকরা। এমনকি সার কিনলে জোর পূর্বক অন্য সার নিতে হচ্ছে বাধ্যতামূলক বলে দাবি কৃষকদের। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাসায়নিক সারকে হাতিয়ার করে আন্দোলন নেমেছে রাজনৈতিকগুলি। কৃষকদের দাবি আগের বছর তারা যে সার কিনেছিল ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়, এই বছর সেই সারের দাম হয়েছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা। ১০/২৬ সারের ক্ষেত্রে দোকানদার কৃষকদের বলছেন, আলু চাষের যে ১০/২৬ সার ব্যাবহার করা হয় সেই সার পাওয়া যাচ্ছে না।বিপাকে পড়ছে কৃষকেরা। কৃষকদের দাবি, দ্রুত প্রশাসন তৎপর হয়ে এই কালোবাজারি সারের ব্যবসা বন্ধ করুক। তা না হলে চরম ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। এমনিতেই কোল্ডস্টোরে আলু রেখে দাম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা তার উপর নতুন করে আলু চাষ করতে গিয়ে চড়া দামে সার কিনে কি হবে এই নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন গুনছে কৃষকেরা।যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন ব্যাবসায়ী মুখ খোলেননি, ব্যবসায়ীরা জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রয়োজনের তুলনায় সার একে বারে কম এসেছে, এতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে চন্দ্রকোনার এক ক্ষুদ্র সার ব্যবসায়ীর দাবি, "সারের দাম আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে, বেশ কিছু কোম্পানির সার টাকা দিয়েও আমরা পাচ্ছি না, এমনকি সার কিনতে গেলে অনেক ধরনের কোম্পানি নিয়ম দেখাচ্ছে যার জন্য সমস্যায় পড়ছে গ্রাম গঞ্জের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।'' এ বিষয়ে ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ''আমরা দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছি,অভিযোগ পেলেই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।''তবে যাই হোক না সার নিয়ে যে কালোবাজারি হচ্ছে এটা কিছুটা হলেও স্বীকার করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরাও।ঘাটাল ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সৌরভ চট্টরাজ বলেন, ''প্রতিটি কৃষককে সার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাকা রসিদ নিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ পেলেই দ্রুত ওই সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'' চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ বলেন,''সারের কালোবাজারি রুখতে ইতিমধ্যে সার ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে,পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" কিন্তু মুখে প্রশাসন যাই বলুক না কেন,কৃষকদের অসাধু ব্যাবসায়ীর খপ্পরে পড়তে হচ্ছেই,চাষ করার তাগিদে চড়া দামে তারা কিনতে বাধ্য হচ্ছে রাসায়নিক সার।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us