হোস্টেলে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু

author-image
Harmeet
New Update
হোস্টেলে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বর্তমানে নিজের রাজ্য ওড়িশায় রয়েছে। সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি ইউনিট-২ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। সেখানে গিয়ে তার মনে পড়ে যায় ছাত্রাবস্থার কথা। ১৯৭০-এর দশকে হোস্টেলে তাকার সময় যে খাটটিতে ঘুমোতেন তিনি, সেই খাটে বসা মাত্রই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। এছাড়াও তিনি ১৩ জন সহপাঠীর সাথে দেখা করেছেন। স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেকা করার পর আনন্দ প্রকাশ করেন মুর্মু। দিনটি খন্ডগিরির তপবানা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনের মাধ্যমে শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। 

তার স্কুলের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে মুর্মু বলেন: "আমি পড়াশুনা শুরু করেছি আমার উপড়বেদা গ্রামে। সেখানে কোনো স্কুল বিল্ডিং ছিল না, কিন্তু একটি খড়ের বাড়ি যেখানে আমরা পড়তাম।" বর্তমান সময়ের শিশুদের "সৌভাগ্যবান" আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি বলেন: "আমরা শ্রেণীকক্ষ ঝাড়ু দিতাম, গোবর দিয়ে স্কুল চত্বর পরিষ্কার করতাম। আমাদের সময়ে শিক্ষার্থীরা মুক্ত মন নিয়ে লেখাপড়া করত। আমি আপনাদের কাছে কঠোর পরিশ্রম করার আবেদন জানাই। তোমার পড়াশোনায় মন দাও।" ছাত্রীদের সাথে আলাপকালে, মুর্মু বলেন: "আমাদের সময়ে ইন্টারনেট, টেলিভিশন এবং আমাদের বাইরের জগতকে জানার মতো অন্যান্য ব্যবস্থার মতো কোনও সুবিধা ছিল না। তাই বাইরে থেকে আমার কোনও রোল মডেল নেই। আমার দাদি ছিলেন আমার রোল মডেল। আমি দেখেছি কিভাবে তিনি আমাদের এলাকার মানুষকে, বিশেষ করে মহিলাদের সাহায্য করতেন। আমার দাদি মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী ছিলেন এবং আমি তার জীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছি।"