/anm-bengali/media/post_banners/1ksYPkOawh0YRbtVBTkp.jpg)
বাংলাদেশঃ বাংলাদেশের হাইকোর্ট গত ২১শে জুন ২০২১ সালে রাঙ্গুনিয়ার জ্ঞানশরন মহারণ্য বৌদ্ধ বিহার ভাঙচুর, লুটপাট ইত্যাদি কেন আইন পরিপন্থী হবে না তার কারন দর্শানোর জন্য এবং বৌদ্ধ বিহার ও বিভিন্ন স্থাপনায় দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার, রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ ১৭টি সরকারী ও আধা সরকারী সংস্থাকে রুল নিশি জারী করে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ কোর্টের আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্থানীয় পুলিশ, বনবিভাগের লোকজন এবং এলাকার সন্ত্রাসীরা একযোগে মিলে, গত ২৫শে মে থেকে ৭ই জুলাইয়ের মধ্যে উক্ত বৌদ্ধ বিহারের সকল স্থাপনা, ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়, ব্যবহার্য এবং মূল্যবান সকল মাল, বিহারের মাইক্রোবাস, বৈদ্যুতিক জেনারেট, নির্মাণ সামগ্রী সহ সমস্ত কিছু লুট করে নিয়ে যায়। তা ছাড়া বিহার এলাকায় স্থাপিত ১৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বুদ্ধ মূর্তি ভেঙে দেয় এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের খাবার ও ভিক্ষা পাত্র, ব্যবহার্য চীবর বা গেরুয়া বসন অত্যন্ত অবজ্ঞা এবং উপহাস করে যত্রতত্র নিক্ষেপ করে নষ্ট করে ফেলে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৯ জুলাই, চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়ার ফলাহারিয়া নামক অখ্যাত এক গ্রামের অরন্য বেষ্টিত একটি বৌদ্ধ বিহারের নির্মাণধীন স্থাপনা কোর্ট বা মেজিষ্ট্ৰেট এর কোন ধরনের নির্দেশ ছাড়া সম্পূৰ্ণ বেআইনী ভাবে ভেঙ্গে দেয় স্থানীয় পুলিশ, বন বিভাগের লোকজন এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরের দিন ১০ জুলাই বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা ভদন্ত শরনংকর থেরো' বিহার রক্ষা এবং নিরাপত্তা চেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি বক্তব্য রাখেন এবং এ সকল ঘটনার পেছনে কারো নাম না বলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইন্দন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। বক্তব্যের পর এলাকার সন্ত্রাসীরা জীবন নাশের হুমকী দিতে থাকলে শরনংকর থেরো জীবনের নিরাপত্তার জন্য বিহার ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তাঁর বক্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল হলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশী বৌদ্ধসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতা কর্মীরা বৌদ্ধ বিহার ভাংচুরের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us