/anm-bengali/media/post_banners/fjQ1YczAcVoVPyqPlAmF.jpg)
হাবিবুর রহমান, ঢাকা: বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বাংলাদেশে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাংলাদেশে ভারি বৃষ্টি সাথে হালকা দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের পাহাড়ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন উপকূলের লাখ লাখ মানুষ। উপকূলে নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার সকালে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারা বাংলাদেশে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রশাসন। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিমি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিমি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি.। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি. পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চীদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us