জেনে নিন ছট মাইয়ার কাহিনি

author-image
Harmeet
New Update
জেনে নিন ছট মাইয়ার কাহিনি

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রতি বছরের মতো এ বছরও ছট পুজো চলে এল।পুরাণ অনুযায়ী, ছট মাতা হলেন ব্রহ্মার কন্যা এবং সূর্যদেবের বোন। বলা হয় ব্রহ্মা জগৎ-এর সৃষ্টির সময় নিজেকে দুই ভাগে ভাগ করেন। তাঁর ডান দিকটা পুরুষ এবং বাঁ দিক প্রকৃতি হিসেবে প্রকাশিত হয়। প্রকৃতি দেবী অর্থাৎ, সৃষ্টির অধিষ্ঠাত্রী দেবী নিজেকে ছয় ভাগে ভাগ করেন এবং তাঁর ষষ্ঠ অংশটি দেবসেনা নামে পরিচিত হয়। ষষ্ঠ অংশ হওয়ায় তিনি ছটি মাইয়া নামেও পরিচিত। সে জন্য অনেক জায়গায় সন্তান জন্মের ষষ্ঠ দিনে সন্তানের মঙ্গল কামনায় ছটি মাতার পুজো করা হয়।











ছটপুজো নিয়ে রয়েছে অনেক রকম আখ্যান। সেগুলির একটিতে বলা হয়, স্বয়ম্ভু মনুর পুত্র রাজা প্রিয়ব্রত এবং তাঁর স্ত্রী মালিনী ছিলেন নিঃসন্তান। তাঁদের সন্তান লাভের জন্য মহর্ষি কাশ্যপ পুত্র্যেষ্টি যজ্ঞ করার পরামর্শ দেন। যজ্ঞের কিছুকাল পরে মালিনী অন্তঃসত্ত্বা হলেও তাঁর গর্ভজাত সন্তানের মৃত্যু হয়। এর পর ছটি মাতা প্রিয়ব্রতকে দর্শন দিয়ে সন্তান লাভের জন্য তাঁর উপাসনা করতে বলেন। রাজা সেই দেবীর নির্দেশ মতো পূজা করেন এবং পুত্র সন্তান লাভ করেন। বলা হয়ে থাকে, সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ দিন। তার পর থেকেই এই পূজার প্রচার হয়, এবং সকলে সন্তানের মঙ্গল কামনায় এবং পরিবারের কল্যানের জন্য ছটপুজো করে আসছেন।















বস্তুত ছট পুজোর উৎস খুঁজতে গেলে বেদের যুগে চলে যেতে হবে। এ দিন জীবন, প্রাণ সঞ্চারের জন্য সূর্যদেবকে আরও একবার ধন্যবাদ জানানোর উৎসব, আর সূর্যের মন ছটি মাইয়ার উপাসনার উৎসব, যাতে তিনি মনস্কামনা পূরণ করেন। চারদিন ব্যাপী চলে ছটপুজো। পবিত্র স্নান, উপবাস ব্রত পালন, জলে দাঁড়িয়ে থেকে প্রার্থনা করা এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যদেবের উদ্দেশে অর্ঘ্য নিবেদন করা এই ছট পুজোর অঙ্গ।