নিজস্ব প্রতিনিদি, দাসপুর : দুধকোমড়া গ্রামে সাতসকালেই নদীর ধারে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়িয়ে দিয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা তৃণমূলের! অভিযোগ বিরোধীদের।ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুর থানার দুধকুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। দাসপুর থানা দুধকুমড়া এলাকায় রূপনারায়ণ নদীর পাড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের বহু ফাইলসহ নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল দুধকুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অমিয় মান্না। বিষয়টি নজরে আসে ওই এলাকার সিপিআইএম নেতৃত্ব রঞ্জিত পাল, লক্ষীকান্ত ভৌমিক ও বিমলেন্দু দলই সহ অন্যান্যদের। এর পরেই নথি পুড়িয়ে তথ্য লোপাটের অভিযোগ করলেন সিপিআইএম নেতৃত্বরা রীতিমতো সেই অভিযোগ তুলেই বাধা দেওয়া হয় তৃণমূল সদস্যকে এরপরেই ঘটনাস্থলে বহু মানুষের ভিড় জমতে থাকে।
ঘটনাস্থল থেকেই দাসপুর দুই ব্লকের বিডিওর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ঘটনা সম্পূর্ণ অবৈধ, এভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের নথি পোড়ানো যায় না। ঘটনা প্রসঙ্গে আরো জানা গিয়েছে, কিছুদিন পরেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অডিট হবে। আর তারই আগে এভাবে নথি পোড়ানোর ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমগ্র এলাকা জুড়ে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক শাসক দলের বিরুদ্ধে যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে সেই ঘটনার পরে আবারও এই ধরনের নথি পোড়ানোর ঘটনা, যা সরাসরি তথ্য লোপাটের চেষ্টা বলেই অভিযোগ, সিপিআইএম ও বিজেপি দলের। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল সদস্য কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানায়, প্রধান সাহেবের নির্দেশেই এই সমস্ত ফাইলগুলিকে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক পাত্র জানিয়েছেন, এই ফাইলগুলি প্রায় ২০-২৫ বছরের পুরাতন। তাই এই সমস্ত ফাইলগুলিকে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছিল তবে এটি অডিটের দুদিন আগে ঘটায় এটিকে নিয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে। তবে রাজ্যজুড়ে একের পর এক শাসক দলের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে তার ফলেই দাসপুরের দুধকুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সমগ্র এলাকা জুড়েই।