আদালতে তোলা হল এটিএম জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত ২ জনকে

author-image
Harmeet
New Update
আদালতে তোলা হল এটিএম জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত ২ জনকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, অন্ডাল : ফের সাফল্য পেল অন্ডাল থানার পুলিশ। পুজোর মরশুমে এলাকার বহু মানুষ আপাতত এই এটিএম জালিয়াতি থেকে রক্ষা পেল। রবিবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই এটিএম চোর। অন্ডাল থানার একদল সাদা পোশাকের পুলিশ ও অন্ডাল থানার সিভিক টিম কাজোড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার বেলা ২ নাগাদ একটা বেসরকারি এটিএম থেকে টাকা চুরি করার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ল ধানবাদের বাসিন্দা বিশাল বাউরি ও কাজোড়া এলাকার সানি কুমার বার্মা। ধৃতদের সোমবার দুর্গাপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ।











পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই যুবক দীর্ঘদিন ধরে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন এলাকায় এটিএম মেশিনের ভিতরে একটা যন্ত্র লাগিয়ে রেখে কৌশলে টাকা গায়েব করতো। এরা এটিএম মেশিন ফাঁকা দেখলেই সেখানে আগেভাগেই ফিট করে রাখতো একটি যন্ত্র। এরপর কোনো গ্রাহক এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলেই মেশিনে আটকে যেত টাকা। অগত্যা সেই গ্রাহক ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হতেন। এটিএম থেকে সেই ব্যক্তি চলে যাবার পরই এই দুই এটিএম চোর এটিএম মেশিন থেকে তাদের ফিট করা মেশিন বের করে হাতিয়ে নিত টাকা। টাকা বের হতেই গ্রাহকের কাছে টাকা তোলার মেসেজ যেত। এতেই বিভ্রান্তিতে পড়ত ব্যাঙ্ক ও গ্রাহকেরা । অন্ডাল থানার পুলিশ হন্যে হয়ে ঘুরছিল এই অপরাধীদের ধরতে। অবশেষে সাফল্য এল, চুরির আগে হাতেনাতে ধরা পড়লো দুই এটিএম চোর। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই দুই এটিএম চোর রবিবার অর্থাৎ গতকাল পাণ্ডবেশ্বর এর একটি এটিএম থেকে টাকা চুরি করে অন্ডাল এলাকায় টাকা চুরির চক্করে ছিল। কিন্তু তৎপর ছিল অন্ডাল থানার পুলিশ। আগে থেকেই সাদা পোশাকে অন্ডালের বিভিন্ন এটিএম কাউন্টারের সামনে ওত পেতে বসেছিল। খবর ছিল যে এলাকার একটি বেসরকারি এটিএম হঠাৎ খারাপ হয়েছে। এটিএম কাউন্টারের আশেপাশে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন ছিল। এটিএম চোরেরা এটিএম এ চুরি করতে ঢুকতেই একেবারে হাতে নাতে ধরা পড়ে পুলিশের জালে। পুলিশের জেরায় ধৃতরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানা যায় । ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় পাঁচ হাজার টাকা ও এটিএম জালিয়াতি করার একটি যন্ত্র, ও একটি স্ক্রু ড্রাইভার ।

ধৃতদের আজ দুর্গাপুর আদালতের তোলা হলো তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দলে আর কে কে আছে? কোথায় কোথায় তারা এই দুস্কর্ম করেছে। সমস্ত তথ্য পেতে পুলিশ আদালতের কাছে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করবে বলে জানা যায় ।